খাগড়াছড়িতে সেই কিশোরীর মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্টে কোনো ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মেডিকেল বোর্ডের নেতৃত্বে থাকা চিকিৎসকরা। এতে স্বাক্ষর করেছেন ডা. জয়া চাকমা, ডা. মীর মোশাররফ ও ডা. নাহিদা আক্তার।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীর শরীরের ভেতরে ও বাইরে ধর্ষণের কোনো চিহ্ন মেলেনি।
জেলা সদর হাসপাতালের এক তদন্ত কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, চিকিৎসকদের গঠিত তিন সদস্যের কমিটি নির্ধারিত পরীক্ষার পর কোনো ধর্ষণের আলামত পাননি।
এ ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলেননি খাগড়াছড়ি জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ছাবের। তিনি শুধু বলেন, ‘আমরা একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছি, যা জেলা পুলিশ সুপারকে জমা দেওয়া হবে। বিস্তারিত সেখান থেকে জানা যাবে।’
এদিকে খাগড়াছড়িতে চলমান সড়ক অবরোধ চার দিন পর আজ স্থগিত করেছে জুম্ম ছাত্র-জনতা। মঙ্গলবার রাতে এক প্রেস বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, প্রশাসনের আশ্বাস এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত অবরোধ স্থগিত থাকবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বুধবার সকাল থেকে খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি পর্যন্ত সব সড়কে যানবাহনের চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। জেলা সদর ও গুইমারায় ১৪৪ ধারা বহাল থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দোকানপাট খোলা থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে এক মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে জেলা। ওই ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন সড়কে অবরোধ চলছিল। স্থানীয় প্রশাসন সচেতনতা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ১৪৪ ধারা প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে।