স্টুডিও পাড়ায় নিজের ছবির হাতে নিত্য তাঁর যাওয়া-আসা। কিন্তু মুম্বাইয়ে থাকতে হবে তো, খেতে হবে তো দুবেলা! এক বন্ধুর যোগাযোগে মুম্বাইয়ের গ্যারেজে কাজ পেয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। মাস গেলে পারিশ্রমিক মিলত ২০০ টাকা। কাজ করতেন যে গ্যারেজে, সেখানেই এক কোণায় শুয়ে পড়তেন।
ঘরের পাশে বিশাল মাপের সরষে ক্ষেত। জানলা দিয়ে রোজ তাকিয়ে থাকতেন সেই ক্ষেতের দিকে। বাবার সঙ্গে মাঝে মধ্যে হাল ধরতেন। কিন্তু মগজে তার অন্য ছক।
মুম্বাই যেতে হবে তাকে। গ্রামের আধভাঙা সিনেমাহলের পর্দায় যে স্বপ্ন দেখে নিজেকে চুপচাপ বুনে নিচ্ছিলেন সদ্য় যৌবনে পা দেওয়া ধরম সিং দেওল, সেই ধরম একদিন গ্রাম ছেড়ে পা রাখলেন শহরের দিকে।
নাহ, পরিবারের লোক তাকে আটকাননি। বরং পেছনে থেকে সাহস জুগিয়ে ছিলেন।
মুম্বাই এলেন তিনি। কিন্তু তার ক্যারিয়ার যাত্রাটা এখন স্বপ্নের মতো মনে হলেও, বাস্তবে বহু দুঃস্বপ্নের রাত দেখেছেন ধর্মেন্দ্র। ট্যালেন্ট হান্ট শো থেকে ক্যামেরার সামনে সুযোগ তো পেলেন, কিন্তু টিকে থাকার জন্য তার লড়াইটা ছিল বেশ কঠিন।
সময়টা ষাটের দশক। মুম্বাইয়ে তখন সদ্য পা দিয়েছেন ধর্মেন্দ্র।
স্টুডিও পাড়ায় নিজের ছবির হাতে নিত্য তার যাওয়া-আসা। কিন্তু মুম্বাইয়ে থাকতে হবে তো, খেতে হবে তো দুবেলা! এক বন্ধুর যোগাযোগে মুম্বাইয়ের গ্যারেজে কাজ পেয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। মাস গেলে পারিশ্রমিক মিলত ২০০ টাকা। কাজ করতেন যে গ্যারাজে, সেখানেই এককোনায় শুয়ে পড়তেন। তবে গ্রামের বাড়িতে শুয়ে শুয়ে যে স্বপ্ন দেখতেন, মুম্বাইয়ের গ্যারেজে শুয়েও সেই স্বপ্নই তাঁর চোখে লেগে থাকত। হিরো তাঁকে হতেই হবে। এই মন্ত্রই ছিল তাঁর জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য। সেই স্বপ্নপূরণ হল। যা চেয়েছিলেন, তাঁর থেকে যেন অনেকটা বেশিই পেলেন ধর্মেন্দ্র। হয়ে উঠলেন বলিউডের হিম্যান। আইকন।
বেশ কয়েকবছর আগে এক সাক্ষাৎকারে ধর্মেন্দ্র বলেছিলেন, বহু বছর বাদে আমার গ্রামে গিয়েছিলাম। যেখানে বসে স্বপ্ন দেখতাম নায়ক হওয়ার, ঠিক সেই জায়গাতেই বসে নিজেকে বলেছিলাম, ধরম তুই তো নায়ক হয়ে গেছিস…
সেদিন ধর্মেন্দ্রর চোখের কোল বেয়ে জল গড়িয়ে পরেছিল। দেওল ফ্যামিলির পরিবারকে তিনি বলেছিলেন, ‘এই স্বপ্নটাকে বাঁচিয়ে রেখো। আমি খুশি সানি, ববিরা সেটা পারছে…।’









