কাজ, জীবনের কঠিন বাস্তবতার ভীড়ে অনেকেই জড়িয়ে যান ‘লং ডিসট্যান্ট রিলেশনশিপ’-এ । হাজার মাইলের দূরত্ব প্রতিনিয়ত হার মানে প্রেমে পড়া দুই হৃদয়ের কাছে। তবে এটা স্বীকার করতেই হবে, ‘লং ডিসট্যান্ট রিলেশনশিপ’ বেশিরভাগ সময়েই চ্যালেঞ্জের। তাই কীভাবে এই চ্যানেঞ্জ মোকাবিলা করবেন, চলুন জানা যাক।
দূরে থাকা প্রেমিক বা প্রেমিকাকে মাসে একটি করে চিঠি লিখুন, পাঠিয়ে দিন তার ঠিকানায়। সেই চিঠিতে নিজের মনের কথা, সঙ্গীকে নিয়ে আপনার স্বপ্ন আর পরিকল্পনা গুছিয়ে লিখুন। ভৌগোলিক দূরত্বে সময়ের পার্থক্য মেনে নিয়ে নিয়মিত দিনের শেষে একবার সঙ্গীকে ফোন করুন। ঘুমানোর আগের সময়টা ব্যক্তিগত সম্পর্কে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
হুটহাট পছন্দের কিছু একটা উপহার কিনে সঙ্গীর ঠিকানায় পাঠিয়ে দিন। সঙ্গে ভালোবাসাময় বার্তা জুড়ে দিতে ভুলবেন না। সেটা হতে পারে কোনো খাবার, ফুল বা সুগন্ধি—যেকোনো কিছু। দূরে থেকেও যেসব কাজ একসঙ্গে করা যায়, সেসব করুন। একসঙ্গে অনলাইনে গেম খেলুন, গান শুনুন, বই পড়ুন বা সিনেমা দেখুন।
সঙ্গীকে ‘স্পেশাল’ অনুভব করান। ভিডিও ডেটে সুন্দর পোশাক পরুন। সুন্দর কোনো প্রাকৃতিক পরিবেশ বা কফিশপে গিয়ে ভিডিও কল করুন। কফির কাপে চুমুক দিয়ে মন খুলে গল্প করুন। সঙ্গীকে আপনার মনের অনুভূতির কথা খুলে বলুন। একসঙ্গে কাটানো সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্নের কথা ভাগাভাগি করে নিন।
ঘুম থেকে উঠে একটা সেলফি তুলে সঙ্গীকে পাঠাতেই পারেন। কেবল সঙ্গীকে পাঠানোর জন্য মজা করে ছবি তুলুন। আবার বিকেলে হাতের কফির মগের ছবি পাঠিয়ে লিখতে পারেন, ‘নাও, কফি খাও’। নতুন কোনো ফুল বা অন্য রকম কিছু দেখলে তার ছবি তুলে বা ভিডিও করে ভাগ করে নিতে পারেন সঙ্গীর সঙ্গে।
লং ডিসট্যান্স রিলেশনশিপের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সঙ্গীর প্রতি ভরসা বজায় রাখা বা তাকে সন্দেহ না করা। অনেক সম্পর্ক ভেঙে যায় কেবল সঙ্গীকে সন্দেহের কারণে। মাঝেমধ্যে একে অন্যের পিডিএ (পার্সোনাল ডিজিটাল অ্যাসিসট্যান্ট) বা অনলাইন অ্যাকটিভিটির ফিরিস্তি শেয়ার করা খারাপ নয়। তবে আপনার যদি সঙ্গীকে সন্দেহ করার বাতিক থাকে, তাহলে লং ডিসট্যান্স রিলেশনশিপ আপনার জন্য নয়!