রবিবার । অক্টোবর ৫, ২০২৫

Image Not Found
News Ticker

বিএনপির প্রতিষ্ঠা ও আজকের রাজনীতি

Image

১৯৭১ সালে সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত অবস্থায় স্বাধীনতাযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয়েছে আমাদের। এমনকি স্বাধীনতার ঘোষণাও দিতে পারেনি আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব। মেজর জিয়া যখন স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন নিজেকে এবং তাঁর পরিবারকে চরম বিপদের ঝুঁঁকিতে ফেলে, তখন আওয়ামী নেতৃত্ব আত্মসমর্পণ আর পলায়নে ব্যস্ত। কেউ বা বিমানে পাকিস্তানের পথে, কেউ বা মেহেরপুরের গন্তব্যে আর তরুণ নেতৃত্ব বুড়িগঙ্গার ওপারে মোস্তফা মহসিন মন্টুর বাসায় বেতারে মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা শুনছেন। অন্যদিকে সারাদেশে নিরস্ত্র মানুষের লাশের স্তূপ জমছে- দেশের সব প্রান্তে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে। সংগঠিত হয়ে এ দেশের মুক্তিকামী তরুণরা গেরিলা যুদ্ধের পাল্টা চোরাগোপ্তা আক্রমণ নিয়ে মাঠে আসতে আসতে মে-জুন পর্যন্ত গড়িয়েছে, যদিও সেই তরুণদের মাঝে আওয়ামী বা ছাত্রলীগ-যুবলীগ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা ছিল নিছকই অপচেষ্টা। তারা তখন জেনারেল উবান-এর ‘ডিম তত্ত্ব’ বাস্তবায়নে নৈনিতাল-দেরাদুনের নাতিশীতোষ্ণ পাহাড়ে মুজিব বাহিনীতে প্রশিক্ষণরত। বাংলাদেশের পথে-প্রান্তরে যুদ্ধ করেছে দেশের সাধারণ ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক- এরাই। তার পরও সবকিছু ভুলে শুধু স্বাধীনতার আকর্ষণে দেশের মানুষের অবিশ্বাস্য ঐক্য সম্ভব করেছে ডিসেম্বরের বিজয়। যদিও এ দেশের মাটিতে জন্ম নেওয়া একটি দল সব সুযোগ থাকার পরও মুক্তিযোদ্ধার পরিবর্তে স্বাধীনতাবিরোধী আর রাজাকার-আলবদর হওয়ার কালিমা মেনে নিয়েছে স্বেচ্ছায়।

ডিসেম্বরে বিজয়ের মুহূর্তে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ঐক্যকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলো আওয়ামী নেতৃত্ব। তারা উড়ে এসে হঠাৎই স্বাধীনতার একমাত্র দাবিদার হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়ার সুবর্ণ সুযোগ হেলায় হারাল। বিজয়ের শুরুতেই এলো বিভক্তি। এমন স্বাধীনতা চাইনি বলে আওয়ামী লীগেরই একাংশ বিভক্তিতে গড়ল ‘জাসদ’। আব্দুর রব আর শাজাহান সিরাজের নেতৃত্বে- আওয়ামী লীগের তথাকথিত ‘মাস্টারমাইন্ড’ সিরাজুল আলম খান নতুনভাবে ‘মাস্টারমাইন্ড’ হয়ে আবির্ভূত হলেন এই বিক্ষুব্ধ বিদ্রোহীদের পক্ষে।

অবিসংবাদিত জাতীয় নেতা হওয়ার দুর্লভ সুযোগ হারালেন শেখ মুজিব। একবার রাষ্ট্রপতি, আরেকবার প্রধানমন্ত্রী, এরপর আবারও রাষ্ট্রপতি পদের সঙ্গে যুক্ত হতে থাকল তার নাম। বিধ্বস্ত বাংলাদেশ তখন এক চরম নৈরাজ্যের অভয়ারণ্য, দেশের মানুষ পাকিস্তানিদের ফুটন্ত কড়াই থেকে আওয়ামী লীগের জ্বলন্ত আগুনে পতিত হলো। চারদিকে ধ্বংসস্তূপ, অভাব আর দুর্ভিক্ষ, রাস্তায় রাস্তায় অনাহারে মানুষের লাশের স্তূপ। জনতাকে স্তব্ধ করতে মাঠে নামল কুখ্যাত ‘রক্ষী বাহিনী’ নামের এক আতঙ্ক। তাদের একমাত্র লক্ষ্য হলো সম্ভাবনাময় তারুণ্যকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া। অসহিষ্ণু সরকার কোনো প্রতিবাদই সহ্য করতে পারছিল না, ভিয়েতনামে যুদ্ধ অবসানের দাবিতে ছাত্র ইউনিয়নের মিছিলে গুলিতে নিহত হলো দুজন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ির উদ্দেশে জাসদের মিছিল পরিণত হলো লাশের মিছিলে। অরাজকতার কফিনে শেষ পেরেক হয়ে এলো ১৯৭৫-এর জানুয়ারিতে একদলীয় ‘বাকশাল’। নিষিদ্ধ হলো সব রাজনৈতিক দল, কণ্ঠরোধ হলো সংবাদপত্রের, বিনা জবাবদিহিতায় সংসদের মেয়াদ বেড়ে গেল পাঁচ বছর। অবশ্য এর আগে ’৭৩-এ সংসদ নির্বাচনে ব্যালট চুরির মহোৎসব দেখার সৌভাগ্য হয়েছে দেশবাসীর।

এলো আগস্ট ১৯৭৫, সপরিবারে নিহত হলেন শেখ মুজিব, ক্ষমতায় এলেন তারই বিশ্বস্ত সহযোগী খন্দকার মোশতাক। সংসদের স্পিকার মালেক উকিল স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বললেন- ‘দেশ ফেরাউনমুক্ত হয়েছে।’ ইতিহাস আসলেই বড় নির্মম।

আগস্ট-পরবর্তী সময়ে বিশৃঙ্খল সেনাবাহিনীতে তখন অভ্যুত্থান আর পাল্টা অভ্যুত্থান ছিল নিত্যসঙ্গী। দেশপ্রেমিক সাধারণ সৈনিক এমন অরাজকতার মাঝে ঘটাল এক অভাবনীয় বিপ্লব। ৭ নভেম্বরে সংঘটিত হলো ঐতিহাসিক সিপাহি-জনতার বিপ্লব। রাষ্ট্রের পাদপ্রদীপে আবারও এলেন জিয়াউর রহমান জাতির মুক্তির দূত হয়ে। দায়িত্ব পালনের সংক্ষিপ্ত সময়ের মাঝেই ঘটালেন অবিশ্বাস্য পরিবর্তন। দুর্ভিক্ষের বাংলাদেশ পরিণত হলো খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে, মুক্ত হলো অবরুদ্ধ সংবাদপত্র, অবারিত হলো রাজনৈতিক চর্চা। দেশের মানুষের প্রত্যাশা ছিল এমন একটি রাজনৈতিক দলের যারা যার আদর্শে হবে উদার মধ্যপন্থি, দৃঢ় থাকবে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে, মর্যাদা দেবে ধর্মীয় বিশ্বাসকে, ঐক্যবদ্ধ করবে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের সব মানুষকে, মর্যাদা দেবে নারীদের, কর্মসংস্থান করবে যুবকদের, সমমর্যাদার সম্পর্ক থাকবে সব রাষ্ট্রের সঙ্গে, অগ্রাধিকার পাবে যোগ্যতা আর দেশপ্রেম, শূন্য সহনশীলতা থাকবে অনিয়ম আর দুর্নীতির প্রশ্নে। জিয়া জনপ্রত্যাশাকে অসম্মান করেননি, গড়েছেন তাদেরই প্রত্যাশার রাজনৈতিক দল ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার রমনা রেস্তোরাঁয় ঐতিহাসিকভাবে আবির্ভূত হয়েছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের আদর্শে বিশ্বাসী দল হিসেবে, যে দল সব মতাদর্শের মানুষকে ধারণ করতে পারে। তিনি শুধু বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেননি, একই সঙ্গে শেখ মুজিবের হাতে মৃত আওয়ামী লীগেরও পুনর্জন্ম দিয়েছেন। তারপর ইতিহাসের পথপরিক্রমায় বিএনপির নেতৃত্বে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, উৎপাদন- সব ক্ষেত্রেই এসেছে অপ্রত্যাশিত সাফল্য, প্রবর্তিত হয়েছে স্বাধীনতা-একুশে পদক। নির্মিত হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ, তার পরও মুক্তিযোদ্ধার দল বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র দাবিদার হয়ে ওঠেনি। যেমনভাবে সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ সংযুক্ত করেও বিএনপি এ দেশের মুসলমান জনগোষ্ঠীকে ধর্মের নামে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের সস্তা পথে হাঁটেনি। জিয়া শহীদের মর্যাদায় প্রয়াত হয়েছেন, জনগণ তাকে অন্তিম বিদায় জানিয়েছে সর্ববৃহৎ জানাজার মাধ্যমে।

পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়া দলের দায়িত্ব নিয়েছেন এক কঠিন সময়ে- দলকে করেছেন সুসংহত, স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ছিলেন সম্মুখ নেতৃত্বে, আপসহীন ইমেজে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়, তিনবার নির্বাচিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, সব আসনেই বিজয়ী হওয়ার এক অনন্য রেকর্ড গড়েছেন, শিকার হয়েছেন এক-এগারোর ষড়যন্ত্রের, কারাবরণ করেছেন মিথ্যা মামলায়, নির্জন কারাগারে আক্রান্ত হয়েছেন দুরারোগ্য ব্যাধিতে। তার পরও পরম সহিষ্ণুতা আর সংযম তাকে আজ দেশনেত্রীর চেয়েও উচ্চতর আসনে বসিয়েছে। আজ তিনি কোনো দলের নন, আজ তিনি এ দেশের সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি। সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে দেশের মানুষের বিশ্বাস আর আস্থার অভিভাবক।

কারারুদ্ধ হওয়ার পর বিএনপির শীর্ষ দায়িত্বে আসেন তারেক রহমান, এক-এগারোর ষড়যন্ত্রকারীদের রোষানলে নির্যাতনের তীব্রতায় প্রায় পঙ্গুত্বকে জয় করে আট হাজার কিলোমিটার দূরে থেকেও দলকে পরিচালনা করেছেন পরম দক্ষতায়। যার ফলে গত সতের বছরের নির্যাতন, হত্যা, গুম, জেল-জুলুম, মামলা-হামলায় জর্জরিত হয়েও লাখো কোটি নেতা-কর্মী-সমর্থক পরিচয় দিয়েছেন এক অবিশ্বাস্য ঐক্য আর আনুগত্যের। শত নির্যাতনেও তারা ছিলেন অনড়- একজনও আদর্শচ্যুত হয়ে দলত্যাগ করেননি, সতের বছর ধরে উত্তপ্ত প্রতিবাদের লাভা মহাবিস্ফোরণে উদগীরিত হয়েছে চব্বিশের আগস্টে, এক ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানে।

আজ আমরা এক নির্বাচনের প্রাক্কালে দাঁড়িয়ে দেশের মালিকানা দেশের মানুষের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার অপার সম্ভাবনার অপেক্ষায়, ফেব্রুয়ারি ২০২৬ অপেক্ষমাণ জাতির সামনে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, সেই প্রত্যাশার মেঘমুক্ত নীল আকাশে ভীতির মেঘের ইতস্তত আনাগোনা শঙ্কিত করছে দেশের মানুষকে। অর্থহীন পিআর পদ্ধতির অবাস্তব দাবি তুলে জামায়াতে ইসলামী যেমন গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির সুযোগ করছে, ঠিক তেমনি আরেক পক্ষ অপ্রয়োজনীয় গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি তুলে গণতন্ত্রের পথযাত্রাকে অনিশ্চিত করার প্রেক্ষাপট রচনা করছে। সাধারণ মানুষ এসবের কোনোটাই পছন্দ করছে না।

গত কয়েক মাস ধরে ঐকমত্য কমিশনের এত দীর্ঘ আলোচনার পর এমন বিভক্তি সাধারণ মানুষকে শুধু বিরক্তই করছে। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে এমন বিভক্তি কেন মেনে নেবে সাধারণ মানুষ? তাদের চাওয়া একটাই, দেশের মালিকানা সাধারণ মানুষের কাছে ফেরত দিতে হবে, জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে তারা তাদের পছন্দের সরকার নির্বাচিত করতে চায়, কারণ তারা জানে দীর্ঘ মেয়াদের অনির্বাচিত সরকার যে কোনো গণতান্ত্রিক দেশের জন্য সম্মানজনক নয়, তারা এটাও জানে- আগামী ফেব্রুয়ারিতে গণতন্ত্রে উত্তরণ কোনো কারণে বাধাগ্রস্ত হলে আবারও অনিশ্চিত সময়ের জন্য এ দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদের কবলে অবরুদ্ধ হবে।

এই মুহূর্তে রাজনৈতিক দলগুলোর বোধোদয় অপরিহার্য। গুটিকয়েক উচ্চাভিলাষী প্রজ্ঞাহীন রাজনৈতিক নেতৃত্বের হঠকারিতায় দেশের ১৮ কোটি মানুষ আবারও কারারুদ্ধ আর বাকরুদ্ধ হবে- এমন অনাকাক্সিক্ষত পরিণতি কেন মেনে নেবে সাধারণ মানুষ?

তারা কি এই সরল সত্যটা বোঝে না যে, পলাতক স্বৈরাচার এখনও পরাজয় মেনে নেয়নি, এখনও অনুতপ্ত নয় তারা, দেশের মধ্যে থাকা তাদের অবিবেচক আর অন্ধ অনুসারীরা এখনও সুযোগের সন্ধানে। তারা কি বোঝে না যে, পিআর পদ্ধতির নামে এই বিভক্তি আর গণপরিষদের দাবিতে বিপরীত অবস্থানের অনৈক্যের সুরে পাশের দেশে লুকিয়ে থাকা স্বৈরাচারের মলিন মুখে হাসির রেখা ফুটে ওঠে! তারা কি বোঝে না ভিপি নুর রক্তাক্ত হলে কিংবা যমুনামুখী ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রদের মিছিল অবরুদ্ধ হলে সেই হাসি আকর্ণ বিস্তৃত হয়। তারা কি বোঝে না এ দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব যখন আস্ফালন করে বলে, ফেব্রুয়ারি নির্বাচন প্রতিহত করা হবে, তারা যখন নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তখন স্বৈরাচারের হাসি অট্টহাসিতে পরিণত হয়?

প্রবাদ আছে, নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করা। আপনারা নিজেদের নাক কাটুন সমস্যা নেই, কিন্তু জনগণের প্রত্যাশার গণতন্ত্রে উত্তরণের সুবর্ণ সুযোগ আগামীর নির্বাচনের যাত্রা নির্বিঘ্ন করুন, দয়া করে গণতান্ত্রিক উত্তরণের যাত্রা ভঙ্গ করবেন না। একজন চিকিৎসকের ভুলে একজন রোগীর মৃত্যু হতে পারে, একজন প্রকৌশলীর ভুলে একাধিক মানুষের প্রাণ যেতে পারে, একজন পাইলটের ভুলে শত মানুষের মৃত্যু হতে পারে কিন্তু একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ভুলে ১৮ কোটি মানুষের অধিকারের মৃত্যু হতে পারে। আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বিঘ্নিত হলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রের ভবিষ্যৎ কত দীর্ঘ সময় মহাকাশের কালো গহ্বরের আড়ালে অন্তরীণ হয়ে থাকবে, সেটা হঠকারী রাজনৈতিক নেতৃত্ব উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হলেও সাধারণ মানুষের কাছে সেটা দুর্বোধ্য নয়। আর তেমন হলে ইতিহাস তাদের কী পরিণতি নির্ধারণ করবে সেটা ইতিহাসের জন্য তোলা থাক, কিন্তু জনগণের শিক্ষা কেমন হতে পারে সেটা নিশ্চয়ই বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে আগামী ফেব্রুয়ারিতে এক মহিমান্বিত গণতান্ত্রিক উত্তরণে মহানায়ক হওয়ার দুর্লভ সুযোগ। এখন সিদ্ধান্ত তাদেরই নিতে হবে, আগামীতে তারা মহানায়ক হিসেবে নন্দিত হবে, নাকি আস্তাকুঁড়ের আবর্জনায় নিন্দিত হবে।

অধ্যাপক মওদুদ আলমগীর পাভেল : আহ্বায়ক, বিএনপি মিডিয়া সেল

Releated Posts

আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়েই পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে-কামাল জামান মোল্লা

আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়েই পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে-কামাল জামান মোল্লা

আমরা এখনও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। আমরা শুধুমাত্র একটি ধাপ অতিক্রম করেছি।ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বিদায় করতে পেরেছি। পূর্ণ গণতন্ত্র…

Oct 4, 2025
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রবিবার বৈঠকে বসছে ঐকমত্য কমিশন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রবিবার বৈঠকে বসছে ঐকমত্য কমিশন

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত প্রস্তাবনা নিয়ে আগামীকাল রবিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আবারও রাজনৈতিকদলের সঙ্গে বৈঠকে বসবে জাতীয়…

Oct 4, 2025
ফেব্রুয়ারিতে সরকারি ও আধা-সরকারি দলের মধ্যেই নির্বাচন হচ্ছে: জিএম কাদের

ফেব্রুয়ারিতে সরকারি ও আধা-সরকারি দলের মধ্যেই নির্বাচন হচ্ছে: জিএম কাদের

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের নামে প্রহসন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশের চেয়ারম্যান জিএম কাদের। এবার সরকারি দল ও…

Oct 4, 2025
পাঁচ দিন পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু

পাঁচ দিন পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা পাঁচ দিনের বিরতির পর দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে আবারও পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সচল…

Oct 4, 2025
বিএনপির প্রতিষ্ঠা ও আজকের রাজনীতি – crd.news