ঢাকা ১০:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কলাপাড়ায় রাখাইনদের গুরুদক্ষিনা উৎসব উদযাপন

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:০৯:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
  • / ৮৭ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নানা আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে রাখাইনদের গুরুদক্ষিনা উৎসব। শুক্রবার সকাল দশটায় উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের তুলতলী গ্রামের বৌদ্ধ বিহারে এ উৎসব শুরু হয়।

এ উৎসব উপলক্ষে সকাল থেকেই বিভিন্ন উপজেলার রাখাইন উপাসক-উপাসিকারা ওই বিহারে এসে পঞ্চশীল গ্রহন করেন।

পরে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ সঙ্গরাজ ভান্তে উইকুইনন্দা মহাথের মহোদয়কে গুরুদক্ষিনা প্রদান শেষে আর্শিবাদ গ্রহন করেন। এসময় পেছনের ভুলভ্রান্তি ক্ষমার জন্য একে অপরের কাছে প্রার্থনা করেন। এছাড়া দিনভর আহার প্রদকন ও ধর্মীয় আলোচনা সহ নানা আয়োজনে এ উৎসবটি উদযাপন করবে রাখাইন সম্প্রদায়। প্রতিবছর বর্ষাবাসের আগে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ উৎসবটি উদযাপন করে আসছে তারা।

মংচং মনজু রাখাইন বলেন, ভান্তের কাছে আমরা দক্ষিণা দিয়েছি। প্রার্থনা করেছি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানুষ একত্রে বসবাস করতে পারে। বিশ্বে যে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে তা যেন জন্য শান্ত হয়।

কলাপাড়ার বাসিন্দা মং খেলা বলেন, সকালে আমরা এখানে এসেছি। প্রতিবছরই আমাদের এই ভান্তের  দক্ষিনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।  আমরা প্রার্থনা করেছি মানব কুলসহ সকল জীব যেন ভালো থাকে।

কুয়াকাটা শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধা বিহারের উপাধ্যক্ষ, ইন্দ্র বংশ ভিক্ষু বলেন, বৌদ্ধ ধর্ম দর্শনে যারা আমাদের বৌদ্ধ বৃক্ষ রয়েছে এদের মধ্যে যারা সিনিয়র রয়েছে তাদের কাছে আমাদের ভুল ভ্রান্তি থাকে। এজন্য আমরা প্রার্থনা করে থাকি। গুরুজনও আমাদের জন্য প্রার্থনা করে গুরুজন হয়েও তাহার যদি আচার-আচরণে ভুল ভ্রান্তি হয়ে থাকে সেটা একে অপরকে ক্ষমা করে দিয়ে বলি মৈত্রী ধানের মাধ্যমে একে অপরকে ভালোবাসা মৈত্রীর দান করে মিলেমিশে থাকবো।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কলাপাড়ায় রাখাইনদের গুরুদক্ষিনা উৎসব উদযাপন

আপডেট সময় : ০৬:০৯:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নানা আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে রাখাইনদের গুরুদক্ষিনা উৎসব। শুক্রবার সকাল দশটায় উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের তুলতলী গ্রামের বৌদ্ধ বিহারে এ উৎসব শুরু হয়।

এ উৎসব উপলক্ষে সকাল থেকেই বিভিন্ন উপজেলার রাখাইন উপাসক-উপাসিকারা ওই বিহারে এসে পঞ্চশীল গ্রহন করেন।

পরে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ সঙ্গরাজ ভান্তে উইকুইনন্দা মহাথের মহোদয়কে গুরুদক্ষিনা প্রদান শেষে আর্শিবাদ গ্রহন করেন। এসময় পেছনের ভুলভ্রান্তি ক্ষমার জন্য একে অপরের কাছে প্রার্থনা করেন। এছাড়া দিনভর আহার প্রদকন ও ধর্মীয় আলোচনা সহ নানা আয়োজনে এ উৎসবটি উদযাপন করবে রাখাইন সম্প্রদায়। প্রতিবছর বর্ষাবাসের আগে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ উৎসবটি উদযাপন করে আসছে তারা।

মংচং মনজু রাখাইন বলেন, ভান্তের কাছে আমরা দক্ষিণা দিয়েছি। প্রার্থনা করেছি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানুষ একত্রে বসবাস করতে পারে। বিশ্বে যে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে তা যেন জন্য শান্ত হয়।

কলাপাড়ার বাসিন্দা মং খেলা বলেন, সকালে আমরা এখানে এসেছি। প্রতিবছরই আমাদের এই ভান্তের  দক্ষিনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।  আমরা প্রার্থনা করেছি মানব কুলসহ সকল জীব যেন ভালো থাকে।

কুয়াকাটা শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধা বিহারের উপাধ্যক্ষ, ইন্দ্র বংশ ভিক্ষু বলেন, বৌদ্ধ ধর্ম দর্শনে যারা আমাদের বৌদ্ধ বৃক্ষ রয়েছে এদের মধ্যে যারা সিনিয়র রয়েছে তাদের কাছে আমাদের ভুল ভ্রান্তি থাকে। এজন্য আমরা প্রার্থনা করে থাকি। গুরুজনও আমাদের জন্য প্রার্থনা করে গুরুজন হয়েও তাহার যদি আচার-আচরণে ভুল ভ্রান্তি হয়ে থাকে সেটা একে অপরকে ক্ষমা করে দিয়ে বলি মৈত্রী ধানের মাধ্যমে একে অপরকে ভালোবাসা মৈত্রীর দান করে মিলেমিশে থাকবো।