ঢাকা ১০:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চুক্তি শেষে যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতিতে গোপনীয়তার বিষয়টি প্রকাশ করা হবে : বাণিজ্য উপদেষ্টা কিছু ব্যক্তি কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছেন শুধু অর্থ পাচারের উদ্দেশ্যে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত আইফোন ১৬ এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় আইফোন: টিম কুক বর্ষায় চুল ঝরছে, মেনে চলুন কিছু সহজ টিপস ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ায় নিহত ৩ ভূতুড়ে শহরে পরিণত হবে ইসরায়েল, হুঁশিয়ারি খাতামির শাহবাগে সমাবেশ: জনভোগান্তির আশঙ্কায় ঢাকাবাসীর প্রতি দুঃখ প্রকাশ ছাত্রদলের পঞ্চাশ বছর ধরে ভোগাচ্ছে একটি রাস্তা, কচুগাছ রোপণ করে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ দিলরুবা কামালের “পরদেশী মেঘ” ‘জুলাই বিপ্লব তরুণদের চেতনার জাগরণ, এটি নতুন রাজনীতির সূচনা করেছে’

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি : জয়শঙ্কর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৫৩:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৩ বার পড়া হয়েছে

এস. জয়শঙ্কর

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ নামে একটি তথাকথিত মানচিত্রের প্রচারকে ঘিরে সৃষ্ট বিতর্কের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে ঘটে চলা ঘটনাপ্রবাহ আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। এই মানচিত্রে ভারতের কয়েকটি রাজ্যের অংশ বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্ত দেখানো হয়েছে, যা ভারতের জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

লোকসভায় ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এক সংসদ সদস্য এই বিষয়টি উত্থাপন করলে জয়শঙ্কর বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। বিতর্কিত মানচিত্রটি সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি প্রদর্শনীতে দেখানো হয়েছিল, যা ‘সালতানাত-ই-বাংলা’ নামের একটি সংগঠন আয়োজন করেছে বলে দাবি করা হয়।

অভিযোগ আছে, এই সংগঠনের সঙ্গে তুরস্কভিত্তিক একটি এনজিও ‘তুর্কিশ ইয়ুথ ফেডারেশন’-এর যোগসূত্র রয়েছে।

উক্ত সংসদ সদস্যের ভাষায়, ‘এ ধরনের কার্যকলাপ গুরুতর প্রশ্ন তোলে এবং বিষয়টি শক্তভাবে প্রতিহত করা উচিত।

জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ‘ভারতের উদ্বেগ বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের সরকার সরকারি ফ্যাক্ট-চেকিং প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলা ফ্যাক্ট’-এর উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, প্রদর্শনীটি ছিল ইতিহাসভিত্তিক এবং ২০২৫ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছিল।

উক্ত মানচিত্রটি ছিল মধ্যযুগীয় বাংলার ইতিহাসভিত্তিক একটি মানচিত্র।’

তিনি আরো বলেন, ‘আয়োজকরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন— তাদের কোনো বিদেশি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই। বাংলাদেশের সরকার এটাও নিশ্চিত করেছে যে, ‘সালতানাত-ই-বাংলা’ নামে কোনো স্বীকৃত সংগঠন দেশে নেই। তবুও জয়শঙ্কর বলেন, ভারতের জাতীয় স্বার্থের বিষয়গুলোতে আমরা গভীরভাবে মনোযোগী।

বিশেষ করে বাংলাদেশকে ঘিরে এমন কোনো ইস্যু যা আমাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলতে পারে, সেগুলো আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছি।’

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি : জয়শঙ্কর

আপডেট সময় : ১২:৫৩:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ নামে একটি তথাকথিত মানচিত্রের প্রচারকে ঘিরে সৃষ্ট বিতর্কের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে ঘটে চলা ঘটনাপ্রবাহ আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। এই মানচিত্রে ভারতের কয়েকটি রাজ্যের অংশ বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্ত দেখানো হয়েছে, যা ভারতের জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

লোকসভায় ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এক সংসদ সদস্য এই বিষয়টি উত্থাপন করলে জয়শঙ্কর বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। বিতর্কিত মানচিত্রটি সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি প্রদর্শনীতে দেখানো হয়েছিল, যা ‘সালতানাত-ই-বাংলা’ নামের একটি সংগঠন আয়োজন করেছে বলে দাবি করা হয়।

অভিযোগ আছে, এই সংগঠনের সঙ্গে তুরস্কভিত্তিক একটি এনজিও ‘তুর্কিশ ইয়ুথ ফেডারেশন’-এর যোগসূত্র রয়েছে।

উক্ত সংসদ সদস্যের ভাষায়, ‘এ ধরনের কার্যকলাপ গুরুতর প্রশ্ন তোলে এবং বিষয়টি শক্তভাবে প্রতিহত করা উচিত।

জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ‘ভারতের উদ্বেগ বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের সরকার সরকারি ফ্যাক্ট-চেকিং প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলা ফ্যাক্ট’-এর উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, প্রদর্শনীটি ছিল ইতিহাসভিত্তিক এবং ২০২৫ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছিল।

উক্ত মানচিত্রটি ছিল মধ্যযুগীয় বাংলার ইতিহাসভিত্তিক একটি মানচিত্র।’

তিনি আরো বলেন, ‘আয়োজকরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন— তাদের কোনো বিদেশি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই। বাংলাদেশের সরকার এটাও নিশ্চিত করেছে যে, ‘সালতানাত-ই-বাংলা’ নামে কোনো স্বীকৃত সংগঠন দেশে নেই। তবুও জয়শঙ্কর বলেন, ভারতের জাতীয় স্বার্থের বিষয়গুলোতে আমরা গভীরভাবে মনোযোগী।

বিশেষ করে বাংলাদেশকে ঘিরে এমন কোনো ইস্যু যা আমাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলতে পারে, সেগুলো আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছি।’