অধ্যাদেশের দাবিতে বুধবার রাস্তায় নামছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা

- আপডেট সময় : ০১:৫০:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫
- / ১৯ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ গঠনের অধ্যাদেশ দ্রুত প্রকাশের দাবিতে বুধবার (৬ আগস্ট) শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে নামছেন। সায়েন্সল্যাব মোড়ে এই কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত’ পরিচয়ে শিক্ষাজীবন কাটানো তাদের জন্য একটি বৈষম্যমূলক অভিজ্ঞতা ছিল। এখন সরকার ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সেই আত্মপরিচয়ের সংকট থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ তৈরি হয়েছে। তাই অধ্যাদেশ দ্রুত কার্যকর করতেই তারা রাজপথে নামছেন।
আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের ফোকাল পার্সন আব্দুর রহমান বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে স্বতন্ত্র পরিচয়ের দাবিতে আন্দোলন করছি। শিক্ষা সিন্ডিকেটের কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না। সরকার যখন নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ প্রণয়ন শুরু করেছে, তখন তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করতে হবে।”
এরইমধ্যে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে পোস্টারিং, ব্যানার ও প্রচারণার মাধ্যমে কর্মসূচিকে সফল করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে, আন্দোলনকারীরা বুধবার সকাল ১০টায় ঢাকা কলেজের মূল ফটকে জমায়েত হবেন। সেখান থেকে বেলা ১১টায় মিছিল শুরু হয়ে আজিমপুর মোড়, সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত ও ইডেন কলেজ এলাকা ঘুরে আবার ঢাকা কলেজে ফিরে শেষ হবে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুপুর ১২টায় ঢাকা কলেজে এক সংবাদ সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ সরকার ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাতটি সরকারি কলেজ নিয়ে পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রস্তাবে এটির নাম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’। এই সাতটি কলেজ হলো: ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।
ইতোমধ্যে ইউজিসি জানায়, অধ্যাদেশ কার্যকরের জন্য পাঁচটি ধাপ অনুসরণ করা হবে। প্রথমে খসড়া প্রস্তুত করে তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে পর্যালোচনার পর চূড়ান্ত খসড়াটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও উপদেষ্টা পরিষদ হয়ে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। তবে শিক্ষার্থীদের আশঙ্কা, এই দীর্ঘ প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় সময়ক্ষেপণ হতে পারে। তাই দ্রুততার সঙ্গে অধ্যাদেশ জারি করে বিশ্ববিদ্যালয়টি কার্যকর করার দাবিতে তারা মাঠে নামছেন।