ঢাকা ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের জন্য বরাদ্দ ২,৯৫৬ কোটি টাকা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আলোচনার শর্তাবলি প্রকাশযোগ্য নয় : অর্থ উপদেষ্টা সমুদ্রপথে দুবাইতে কাঁঠাল রপ্তানি করলো বাংলাদেশ আটাবের দুর্নীতি-জালিয়াতির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জামের বীজের গুঁড়া এত উপকারী কিডনি ক্যান্সারে বাড়ছে মৃত্যু, পুরুষদের ঝুঁকি বেশি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউয়ের রায় বৃহস্পতিবার পোর্তোর সাবেক অধিনায়ক কিংবদন্তি কস্তার মৃত্যু খুব শিগগিরই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে: মির্জা ফখরুল নির্বাচনের আগে লটারির মাধ্যমে এসপি-ওসিদের বদলি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭ বছর পর মান্দায় বিএনপির বিশাল বিজয় র‍্যালি

জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:০১:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১২২ বার পড়া হয়েছে

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজ ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) মান্দা উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে এক বিশাল ও ঐতিহাসিক বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর এতো বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আয়োজিত এই র‍্যালি মান্দায় দিনভর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।

বিএনপি’র বিজয় র‍্যালিটি কয়াপাড়া কামারকুড়ি হাইস্কুল মাঠ থেকে শুরু হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রসাদপুর চৌরাস্তায় গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। র‍্যালিতে প্রায় ১০ হাজারেরও অধিক নেতাকর্মী অংশ নেন, যা এলাকাজুড়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি করে।

এই র‍্যালির নেতৃত্বে ছিলেন মান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মতিন, সাধারণ সম্পাদক বাবুল চৌধুরী, এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. ইকরামুল বারী টিপুসহ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। তাদের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা সুশৃঙ্খলভাবে র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করেন এবং বিভিন্ন দলীয় স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন পুরো মান্দা এলাকা।

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির এই বিজয় র‍্যালিটি ছিল শক্তিমত্তা প্রদর্শনের একটি বড় আয়োজন, যা দলীয় কর্মীদের মাঝে নতুন করে উদ্দীপনা ও সাহস সঞ্চার করেছে। বিশেষ করে আসন্ন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই র‍্যালিকে কেন্দ্র করে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থান যে আরও সুসংহত হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সমাবেশে নেতারা বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে একটি ঐতিহাসিক টার্নিং পয়েন্ট। এই রক্তাক্ত আন্দোলনের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়েই আমরা আগামীদিনে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সক্রিয় থাকব।” তারা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে।

বিজয় র‍্যালির সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা এবং বিপুল জনসমাগম স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের মধ্যেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে বলে জানা গেছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

১৭ বছর পর মান্দায় বিএনপির বিশাল বিজয় র‍্যালি

আপডেট সময় : ০৫:০১:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজ ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) মান্দা উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে এক বিশাল ও ঐতিহাসিক বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর এতো বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আয়োজিত এই র‍্যালি মান্দায় দিনভর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।

বিএনপি’র বিজয় র‍্যালিটি কয়াপাড়া কামারকুড়ি হাইস্কুল মাঠ থেকে শুরু হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রসাদপুর চৌরাস্তায় গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। র‍্যালিতে প্রায় ১০ হাজারেরও অধিক নেতাকর্মী অংশ নেন, যা এলাকাজুড়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি করে।

এই র‍্যালির নেতৃত্বে ছিলেন মান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মতিন, সাধারণ সম্পাদক বাবুল চৌধুরী, এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. ইকরামুল বারী টিপুসহ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। তাদের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা সুশৃঙ্খলভাবে র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করেন এবং বিভিন্ন দলীয় স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন পুরো মান্দা এলাকা।

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির এই বিজয় র‍্যালিটি ছিল শক্তিমত্তা প্রদর্শনের একটি বড় আয়োজন, যা দলীয় কর্মীদের মাঝে নতুন করে উদ্দীপনা ও সাহস সঞ্চার করেছে। বিশেষ করে আসন্ন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই র‍্যালিকে কেন্দ্র করে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থান যে আরও সুসংহত হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সমাবেশে নেতারা বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে একটি ঐতিহাসিক টার্নিং পয়েন্ট। এই রক্তাক্ত আন্দোলনের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়েই আমরা আগামীদিনে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সক্রিয় থাকব।” তারা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে।

বিজয় র‍্যালির সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা এবং বিপুল জনসমাগম স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের মধ্যেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে বলে জানা গেছে।