ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাষ্ট্রপতিকে শপথ পড়াবেন কে, অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ আপনাদের মেয়ে আর নেই, মধ্যরাতে শাশুড়িকে ফোনে জানিয়ে লাপাত্তা জামাই জেমসের সঙ্গে আড্ডা দিতে গিয়ে সময় কখন চলে যায় টেরই পাই না এখন যারা ক্ষমতা উপভোগ করে, তারা তো নির্বাচন চাইবে না: জিএম কাদের হজ কার্যক্রমে কেউ ঘুষ নিলে ফাঁসিতে ঝুলানো হবে: ধর্ম উপদেষ্টা শাম্মির বাসায় চাঁদাবাজির আগে উপদেষ্টা আসিফের সঙ্গে আমার কথা হয় : অপু ফেব্রুয়ারিতে যেন নির্বাচন হয়, সতর্ক থাকতে হবে : দুদু ইউরোপ জুড়ে দাবদাহ, দাবানল মোকাবিলায় হাজার হাজার দমকল কর্মী এবার শিক্ষার্থীদের যমুনা সেতু অবরোধ, ঢাকা-উত্তরবঙ্গ যোগাযোগ বন্ধ স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি

৭ ‌‘মৃত ভোটারের’ সঙ্গে চা খেলেন রাহুল গান্ধী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৩৪:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১০ বার পড়া হয়েছে

সংগৃহীত ছবি

বিহারের রাঘোপুর থেকে উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ জীবিত মানুষকে ‘মৃত’ দেখিয়ে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বুধবার দিল্লিতে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এই তালিকাভুক্ত ‘মৃত’ সাত ভোটারের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁদের সঙ্গে চা পান করেন।

রাহুল গান্ধী এক্স-এ (সাবেক টুইটার) লিখেছেন “আমার জীবনে বহু অভিজ্ঞতা হয়েছে কিন্তু ‘মৃত’ মানুষের সঙ্গে চা খাওয়ার অভিজ্ঞতা এই প্রথম। এই অনন্য অভিজ্ঞতার জন্য ধন্যবাদ নির্বাচন কমিশনকে!”

চার মিনিটের এক ভিডিওতেও দেখা যায়, কীভাবে এই ‘মৃত’ ভোটাররা নিজেরা জীবিত থাকার প্রমাণ দিচ্ছেন। তাঁদের একজন বলেন, ভোটার তালিকার ‘স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন’-এর খসড়া প্রকাশের পরই জানতে পারেন তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। অন্য এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁর পঞ্চায়েতে অন্তত ৫০ জন জীবিত মানুষের নাম ‘মৃত’ বলে কেটে দেওয়া হয়েছে।

এই সাতজন হলেন রামিকবাল রায়, হরেন্দ্র রায়, লালমুনি দেবী, বাচিয়া দেবী, লালওয়াতি দেবী, পুনম কুমারী ও মুন্না কুমার; সকলেই রাঘোপুরের বাসিন্দা। তাদের অভিযোগ, রি-ভেরিফিকেশনের জন্য কাগজপত্র জমা দেওয়া সত্ত্বেও তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। কংগ্রেসের দাবি, এটি কোনও সাধারণ ভুল নয়, বরং সরাসরি রাজনৈতিকভাবে ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা।

রাহুল গান্ধী তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, “ভোট চুরি হতে দেব না।” আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচন ও সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ক মামলাকে কেন্দ্র করে বিরোধী জোট এই স্লোগানকে মূল অস্ত্র বানিয়েছে। এই মামলার রায় আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু ও অসমের নির্বাচন, এবং ২০২৭ সালের উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে বড় আইনি নজির তৈরি করতে পারে।

নির্বাচন কমিশন অবশ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে রাহুল গান্ধীর কাছে তাঁর দাবি প্রমাণের জন্য নথি ও শপথপত্র চেয়েছে। কমিশনের অভিযোগ— কংগ্রেস ইচ্ছাকৃতভাবে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “নির্বাচনের আগে হারের অজুহাত খুঁজে রাখছেন। বারবার হেরে যাচ্ছেন, এবারও তাই প্রস্তুতি নিচ্ছেন।-এনডিটিভি

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

৭ ‌‘মৃত ভোটারের’ সঙ্গে চা খেলেন রাহুল গান্ধী

আপডেট সময় : ১২:৩৪:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

বিহারের রাঘোপুর থেকে উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ জীবিত মানুষকে ‘মৃত’ দেখিয়ে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বুধবার দিল্লিতে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এই তালিকাভুক্ত ‘মৃত’ সাত ভোটারের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁদের সঙ্গে চা পান করেন।

রাহুল গান্ধী এক্স-এ (সাবেক টুইটার) লিখেছেন “আমার জীবনে বহু অভিজ্ঞতা হয়েছে কিন্তু ‘মৃত’ মানুষের সঙ্গে চা খাওয়ার অভিজ্ঞতা এই প্রথম। এই অনন্য অভিজ্ঞতার জন্য ধন্যবাদ নির্বাচন কমিশনকে!”

চার মিনিটের এক ভিডিওতেও দেখা যায়, কীভাবে এই ‘মৃত’ ভোটাররা নিজেরা জীবিত থাকার প্রমাণ দিচ্ছেন। তাঁদের একজন বলেন, ভোটার তালিকার ‘স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন’-এর খসড়া প্রকাশের পরই জানতে পারেন তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। অন্য এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁর পঞ্চায়েতে অন্তত ৫০ জন জীবিত মানুষের নাম ‘মৃত’ বলে কেটে দেওয়া হয়েছে।

এই সাতজন হলেন রামিকবাল রায়, হরেন্দ্র রায়, লালমুনি দেবী, বাচিয়া দেবী, লালওয়াতি দেবী, পুনম কুমারী ও মুন্না কুমার; সকলেই রাঘোপুরের বাসিন্দা। তাদের অভিযোগ, রি-ভেরিফিকেশনের জন্য কাগজপত্র জমা দেওয়া সত্ত্বেও তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। কংগ্রেসের দাবি, এটি কোনও সাধারণ ভুল নয়, বরং সরাসরি রাজনৈতিকভাবে ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা।

রাহুল গান্ধী তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, “ভোট চুরি হতে দেব না।” আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচন ও সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ক মামলাকে কেন্দ্র করে বিরোধী জোট এই স্লোগানকে মূল অস্ত্র বানিয়েছে। এই মামলার রায় আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু ও অসমের নির্বাচন, এবং ২০২৭ সালের উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে বড় আইনি নজির তৈরি করতে পারে।

নির্বাচন কমিশন অবশ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে রাহুল গান্ধীর কাছে তাঁর দাবি প্রমাণের জন্য নথি ও শপথপত্র চেয়েছে। কমিশনের অভিযোগ— কংগ্রেস ইচ্ছাকৃতভাবে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “নির্বাচনের আগে হারের অজুহাত খুঁজে রাখছেন। বারবার হেরে যাচ্ছেন, এবারও তাই প্রস্তুতি নিচ্ছেন।-এনডিটিভি