ঢাকা ০৯:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ফোনালাপ ফাঁসের জেরে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৪২:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা

ফাঁস হওয়া একটি ফোনালাপের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন শিনাওয়াত্রাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে থাই সাংবিধানিক আদালত।মঙ্গলবার (১ জুলাই) থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন শিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে আনা নৈতিক লঙ্ঘনের অভিযোগ গ্রহণ করে তাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন। নয় সদস্যের বেঞ্চের মধ্যে সাতজন বিচারক বরখাস্তের পক্ষে মত দেন। প্রধানমন্ত্রীকে নিজের পক্ষে তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপনের জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।

ফাঁস হওয়া ফোনালাপের জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং এটিকে সাম্প্রতিক সীমান্ত বিরোধ নিয়ে ‘আলোচনার কৌশল’ বলে দাবি করেছেন। তবে রক্ষণশীল আইনপ্রণেতারা তাকে কম্বোডিয়ার কাছে নতি স্বীকার করার অভিযোগ তুলেছেন এবং বলছেন এতে থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনীর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

এই আদালতের রায় এসেছে এমন এক দিনে যখন তার বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা নিজেও গুরুতর রাজনৈতিক মামলার মুখোমুখি। তিনি ৯ বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার এক সংবাদপত্রকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজপরিবারকে অপমান করার অভিযোগে লেসে মাজেস্তে আইনে বিচারের সম্মুখীন।

২০২৩ সালে ১৫ বছরের নির্বাসন শেষে থাকসিন থাইল্যান্ডে ফেরেন। দেশের এই অন্যতম বিতর্কিত রাজনৈতিক নেতা বর্তমানে থাইল্যান্ডের সবচেয়ে উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তি যিনি রাজদ্রোহ আইনের আওতায় বিচার পাচ্ছেন।

থাকসিনের এই প্রত্যাবর্তন ছিল একটি বড় রাজনৈতিক সমঝোতার অংশ, যা তার দল ফেউ থাই এবং তাদের সাবেক শত্রু রক্ষণশীল গোষ্ঠীর মধ্যে সম্পন্ন হয়। এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আছে সেনাবাহিনী — যারা দুইবার সিনাওয়াত্রা পরিবারের সরকার উৎখাত করেছিল — এবং রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ মহল।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ফোনালাপ ফাঁসের জেরে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত

আপডেট সময় : ০২:৪২:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

ফাঁস হওয়া একটি ফোনালাপের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন শিনাওয়াত্রাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে থাই সাংবিধানিক আদালত।মঙ্গলবার (১ জুলাই) থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন শিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে আনা নৈতিক লঙ্ঘনের অভিযোগ গ্রহণ করে তাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন। নয় সদস্যের বেঞ্চের মধ্যে সাতজন বিচারক বরখাস্তের পক্ষে মত দেন। প্রধানমন্ত্রীকে নিজের পক্ষে তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপনের জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।

ফাঁস হওয়া ফোনালাপের জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং এটিকে সাম্প্রতিক সীমান্ত বিরোধ নিয়ে ‘আলোচনার কৌশল’ বলে দাবি করেছেন। তবে রক্ষণশীল আইনপ্রণেতারা তাকে কম্বোডিয়ার কাছে নতি স্বীকার করার অভিযোগ তুলেছেন এবং বলছেন এতে থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনীর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

এই আদালতের রায় এসেছে এমন এক দিনে যখন তার বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা নিজেও গুরুতর রাজনৈতিক মামলার মুখোমুখি। তিনি ৯ বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার এক সংবাদপত্রকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজপরিবারকে অপমান করার অভিযোগে লেসে মাজেস্তে আইনে বিচারের সম্মুখীন।

২০২৩ সালে ১৫ বছরের নির্বাসন শেষে থাকসিন থাইল্যান্ডে ফেরেন। দেশের এই অন্যতম বিতর্কিত রাজনৈতিক নেতা বর্তমানে থাইল্যান্ডের সবচেয়ে উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তি যিনি রাজদ্রোহ আইনের আওতায় বিচার পাচ্ছেন।

থাকসিনের এই প্রত্যাবর্তন ছিল একটি বড় রাজনৈতিক সমঝোতার অংশ, যা তার দল ফেউ থাই এবং তাদের সাবেক শত্রু রক্ষণশীল গোষ্ঠীর মধ্যে সম্পন্ন হয়। এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আছে সেনাবাহিনী — যারা দুইবার সিনাওয়াত্রা পরিবারের সরকার উৎখাত করেছিল — এবং রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ মহল।