ঢাকা ০৯:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

মামদানিকে গ্রেফতারের হুমকি দিলেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৫৬:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • / ১৯ বার পড়া হয়েছে

ডোনাল্ড ট্রাম্প-জোহরান মামদানি

নিউইয়র্ক সিটির মেয়রপ্রার্থী জোহরান মামদানিকে গ্রেফতারের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি এ মেয়র প্রার্থী অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।মঙ্গলবার ফ্লোরিডার একটি ডিটেনশন সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘মামদানি যদি অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ (আইসিই) কর্মকর্তাদের আটক ও নির্বাসনের কাজ বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তাকে গ্রেফতার করতে হবে। সে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন।’
আইসিই অভিযানের বিরোধীতার জেরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিউইয়র্ক সিটির এ মেয়র প্রার্থীকে গ্রেফতারের হুমকি দিয়েছেন। মামদানি ছোটবেলায় পরিবারসহ আইনগতভাবে উগান্ডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা বিষয়টা খুব সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। অনেকেই বলছে সে (মামদানি) অবৈধভাবে এখানে আছেন। আমরা সব কিছুই দেখব।’
এর আগে রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান অ্যান্ডি ওগলস অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডির কাছে মামদানির নাগরিকত্ব বাতিল ও তাকে নির্বাসনের অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে মামদানি বলেন, ‘আমি কোনো আইন ভাঙিনি, তবুও প্রেসিডেন্ট আমাকে হুমকি দিচ্ছেন। কারণ আমি আমাদের শহরকে আইসিইয়ের ভয়ের রাজত্ব থেকে রক্ষা করতে চাই। ট্রাম্পের এ বক্তব্য শুধু আমাদের গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ নয়, বরং নিউইয়র্কবাসীদের জন্য একটি বার্তা; আপনি যদি প্রতিবাদ করেন, তাহলে তারা আপনাকে টার্গেট করবে।’
মামদানির সমালোচনা করলেও নিউইয়র্ক সিটির বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামসের প্রশংসা করতে ভুলেননি ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘অ্যাডামস খুব ভালো মানুষ। সে সমস্যায় পড়েছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।’
বাইডেনের শাসনামলে অ্যাডামস বলেছিল, নিউইয়র্ক এত অভিবাসী নিতে পারবে না। এ বক্তব্যের পরদিনই তাকে অভিযুক্ত করা হয়। অ্যাডামস বারবার কোনো প্রমাণ ছাড়াই দাবি করেছেন, বাইডেন প্রশাসনের অভিবাসন নীতির সমালোচনার জেরে তাকে রাজনৈতিকভাবে টার্গেট করা হয়েছে। পরে তার বিরুদ্ধে বিদেশি ধনকুবের ও অন্তত এক তুরস্ক সরকারের কর্মকর্তার কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ছিল, যেটি চলতি বছরের এপ্রিলে প্রত্যাহার করে নেয় বিচার বিভাগ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মামদানিকে গ্রেফতারের হুমকি দিলেন ট্রাম্প

আপডেট সময় : ১২:৫৬:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

নিউইয়র্ক সিটির মেয়রপ্রার্থী জোহরান মামদানিকে গ্রেফতারের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি এ মেয়র প্রার্থী অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।মঙ্গলবার ফ্লোরিডার একটি ডিটেনশন সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘মামদানি যদি অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ (আইসিই) কর্মকর্তাদের আটক ও নির্বাসনের কাজ বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তাকে গ্রেফতার করতে হবে। সে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন।’
আইসিই অভিযানের বিরোধীতার জেরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিউইয়র্ক সিটির এ মেয়র প্রার্থীকে গ্রেফতারের হুমকি দিয়েছেন। মামদানি ছোটবেলায় পরিবারসহ আইনগতভাবে উগান্ডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা বিষয়টা খুব সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। অনেকেই বলছে সে (মামদানি) অবৈধভাবে এখানে আছেন। আমরা সব কিছুই দেখব।’
এর আগে রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান অ্যান্ডি ওগলস অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডির কাছে মামদানির নাগরিকত্ব বাতিল ও তাকে নির্বাসনের অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে মামদানি বলেন, ‘আমি কোনো আইন ভাঙিনি, তবুও প্রেসিডেন্ট আমাকে হুমকি দিচ্ছেন। কারণ আমি আমাদের শহরকে আইসিইয়ের ভয়ের রাজত্ব থেকে রক্ষা করতে চাই। ট্রাম্পের এ বক্তব্য শুধু আমাদের গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ নয়, বরং নিউইয়র্কবাসীদের জন্য একটি বার্তা; আপনি যদি প্রতিবাদ করেন, তাহলে তারা আপনাকে টার্গেট করবে।’
মামদানির সমালোচনা করলেও নিউইয়র্ক সিটির বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামসের প্রশংসা করতে ভুলেননি ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘অ্যাডামস খুব ভালো মানুষ। সে সমস্যায় পড়েছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।’
বাইডেনের শাসনামলে অ্যাডামস বলেছিল, নিউইয়র্ক এত অভিবাসী নিতে পারবে না। এ বক্তব্যের পরদিনই তাকে অভিযুক্ত করা হয়। অ্যাডামস বারবার কোনো প্রমাণ ছাড়াই দাবি করেছেন, বাইডেন প্রশাসনের অভিবাসন নীতির সমালোচনার জেরে তাকে রাজনৈতিকভাবে টার্গেট করা হয়েছে। পরে তার বিরুদ্ধে বিদেশি ধনকুবের ও অন্তত এক তুরস্ক সরকারের কর্মকর্তার কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ছিল, যেটি চলতি বছরের এপ্রিলে প্রত্যাহার করে নেয় বিচার বিভাগ।