শিল্প উদ্যোক্তা থেকে লেখক শিব্বির মাহমুদ : লিখলেন ‘জীবনের পাতা’ গ্রন্থ

- আপডেট সময় : ০৫:২৮:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
- / ৩২ বার পড়া হয়েছে
দেশের বিজ্ঞানী ও তাদের ডিগ্রি সকলদের জানা দরকার, সেটি লেখা আছে বইটিতে। শিল্প উদ্যোক্তা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং দৈনিক নয়া দিগন্তের চেয়ারম্যান শিব্বির মাহমুদ রচিত ‘জীবনের পাতা’-টি প্রকাশিত হয়েছে।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রকাশনা উৎসবে এ গ্রন্থটি প্রকাশ হয়। প্রকাশনা উৎসবে বিভিন্ন পেশাজীবী ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, শিব্বির মাহমুদ একজন সব্যসাচী মানুষ। বহুমাত্রিক মাত্রার উদ্যোক্তা তিনি। শিক্ষা, শিল্প সবখানে তার হাত গেছে। তার মধ্যে বাস্তব জ্ঞান, জাগতিক জ্ঞান, ধর্মীয় জ্ঞানের বহুমাত্রিক পরিধি পেয়েছি এই বইয়ের মধ্যে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে শিল্প উদ্যোক্তা হওয়া অনেক কঠিন, আমি কয়েকবার চেষ্টা করেছি সফলভাবে পরাজয় বরণ করেছি। সেক্ষেত্রে উনি ( শিব্বির মাহমুদ) সফল।
ঢাবির ভিসি বলেন, রাস্তা দিয়ে যখন যাবেন আপনাকে মানুষ চিনবে না, এটাও সফলতা। এটা পারিবারিক ঐতিহ্য। সেটাও আছে শিব্বির মাহমুদের মাঝে। পলিসিগতভাবে, ক্ষমতাকে মনের সাথে সাধারণতভাবে নিয়ন্ত্রণের রাখার ক্ষমতা। এ পলিসিও রপ্ত করেছে উনি। সেজন্য হয়তো উনার শিল্প প্রতিষ্ঠানে আঘাত কম হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে সাবেক সচিব ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাঈল জবিউল্লাহ বলেন, শিব্বির মাহমুদ আমার বন্ধু, সে একজন দেশপ্রমিক, সেই সাথে ধর্মপ্রাণ মানুষ। তার এই বই তাকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।
‘জীবনের পাতা’ গ্রন্থের লেখক শিব্বির মাহমুদ বলেন, দেশের বিজ্ঞানী ও তাদের ডিগ্রি সকলদের জানা দরকার, সেটি লেখা আছে বইটিতে।
বাল্যকালের স্মৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের বাড়ি ছিল মেঘনার নদীর পাড়ে। নদীতে সেই প্রবল ঢেউ। নানীর বাড়ি যেতাম, নানীর কোলে উঠলাম। আমার নাতিরা কোলে উঠলে নানীর কথা মনে পড়ে। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার প্রেক্ষাপটটি তুলে ধরে তিনি।
আহসান উল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আশরাফুল হক বলেন, বুয়েট থেকে পাশ করে সবাই দেশের বাহিরে চলে যায়, কেন যায়? কারণ তাদের জন্য এ দেশে পরিবেশ গড়তে পারিনি, এ ধরনের লেখা জীবনের পাতা বইয়ে আছে। জুলাইয়ের পর হয়তো একটা পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা চলছে, এটি না হলে আগের মতো অবস্থায় যাবে। তবে নিরাশ হইনি, ছাত্রদেরকে সাহস দেই, তোমরা পারবে।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. মো: আমিন উদ্দিন মৃধা বলেন, শিব্বির অত্যন্ত পারিবারিক মানুষ ছিলেন। মা-বাবার সাথে ভাই-বোনদের পরিচর্যা করতেন তিনি। ভাই-বোনদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলস প্রচেষ্টা করেছেন। ১১ বছরের বাড়ি থেকে বের হয়ে বিশ্বের অনেক দেশ গেছেন। বসবাস করেছেন লন্ডনে এবং সেখান থেকে উদ্যোক্তা হিসেবে দেশে ফিরেন। শিক্ষানুরাগী, মানবকল্যাণে নিয়োজিত একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ জনাব শিব্বির মাহমুদ।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম বলেন, ‘জীবনের পাতা’ বইটিতে বড় ভাই শিব্বির মাহমুদ তার জীবনের সকল ঘটনা লিখেছেন। তার নয়া দিগন্ত ও মীর কাশেম আলীকে নিয়ে লেখা আছে। বইটি সর্বময় পাঠকদের মনে বিস্তৃতভাবে আবেগ অর্জন করবে।
বাল্যবন্ধু ড. আহসান গাজী বলেন, শিব্বির মাহমুদ একজন সফল মানুষ। তিনি তার বন্ধুদের কথাও তুলে ধরেছেন তার বইয়ে। শিল্প উদ্যোক্তা হিসেবেই অনেক পথ পেরিয়ে তিনি উঠে এসেছেন। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সাথে মানবকল্যানে জড়িত। দিগন্ত মিডিয়ার উদ্যোক্তাও তিনি।
শিক্ষাবিদ ড. মনোয়ার শামস বলেন, শিব্বির মাহমুদের ‘জীবনের পাতা’ বইটার ভেতর দিয়ে একজনের জীবনের চিত্র থেকে সামাজিক চিত্র দেখতে পাচ্ছি। বইটি স্মৃতিমূলক, আত্মজীবনীমূলক, ভ্রমনমূলক বলা যায়। বইটিতে তার শিক্ষানুরাগী বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। তার লেখার মধ্য দিয়ে বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পেয়েছে।
লেখকের সাথে স্মৃতির কথা তুলে ধরেন দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক সালাউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, নির্বাহী সম্পাদক মাসুমুর রহমান খলিলী, প্রধান সিটি এডিটর আশরাফুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন দৈনিক নয়া দিগন্ত এর সাহিত্য সম্পাদক কবি আবু জাফর। এছাড়া প্রকাশনা উৎসবে বিভিন্ন পেশাজীবী পর্যায়ের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে লেখক শিব্বির মাহমুদ তার পরিবারের সদস্যদের পরিচয় ও পরিচিতি তুলে ধরেন।