সাবেক এমপির সুপারিশসহ প্রবেশপত্র রাবি উপ-উপাচার্যের ফেসবুকে প্রকাশ

- আপডেট সময় : ০২:২৭:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫
- / ৭ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে রাবিতে শিক্ষক হিসেবে চাকরিপ্রত্যাশী একজনের ভাইভা পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডে স্টোরি হিসেবে প্রকাশের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে ডে স্টোরিটি প্রকাশ করা হয়। এর প্রায় এক ঘণ্টা পরে ডে স্টোরিটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
ডে স্টোরিতে দেখা যায়, প্রবেশপত্রটি আজমীরা আরেফিন নামে এক নারীর। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য ৪ আগস্ট সকাল ১০টায় উপাচার্যের বাসভনস্থ দপ্তরে ভাইভা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা তার। ওই প্রবেশপত্রে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য মো. লতিফুর রহমানের সুপারিশকৃত স্বাক্ষর রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মো. লতিফুর রহমান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি পরপর দুবার রাবি শাখা ইসলামি ছাত্রশিবিরের সভাপতি ছিলেন। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা) আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। এর পর ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে একই আসন থেকে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
ডে স্টোরিট ডিলিট করার পর এ বিষয়ে একটি পোস্ট করেছেন রাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. ফরিদ উদ্দিন খান। পোস্টে ডে স্টোরিটি ভুলবশত প্রকাশ করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি এঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি।
ওই পোস্টে উপ-উপাচার্য লিখেছেন, ‘আমার ফেসবুক স্টোরিতে একজন আবেদনকারীর প্রবেশপত্র কিভাবে আপলোড হয়েছে বুঝতে পারিনি। তবে মোবাইল ফোনটি নিয়ে আমার ছেলে বেশ কিছু সময় গেম খেলছিল। তখন হয়তো ভুলবশত স্টোরিতে এসে গেছে।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘রুয়ার নির্বাচনের সময় একজন অ্যালামনাস যিনি সাবেক এমপি ছিলেন উনার সঙ্গে পরিচয় হয়। কয়েকদিন আগে উনি ফোন করে উনার এলাকার একজন আবেদনকারীর কথা বলেন এবং তার প্রবেশপত্র সেন্ড করেন। পরিচিত অনেকেই এরকম সুপারিশ করেন। তাদের মধ্যে ছাত্র, শিক্ষক, বন্ধু, সহকর্মী, রাজনীতিক অনেকেই আছেন। এই মুহূর্তে আমার অফিসে এবং মোবাইল ফোনে ডজন খানিক এরকম সুপারিশ আছে। তবে এগুলো কোনোভাবেই লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় প্রভাব ফেলে না। আশা করি, বিষয়টি নিয়ে কেউ ভুল বুঝবেন না। ভুলবশত এই স্টোরির জন্য দুঃখপ্রকাশ করছি।’