মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো “নামাজ”।
এটি ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ, যা ঈমানের পর সবচেয়ে বড় আমল হিসেবে গণ্য করা হয়।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বারবার নামাজ কায়েমের নির্দেশ দিয়েছেন এবং হাদীসে নামাজকে জান্নাত-জাহান্নামের পার্থক্যকারী আমল হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদে শুক্রবারের জুমার খুতবায় আলেমরা নামাজের গুরুত্ব ও তা পরিত্যাগের ভয়াবহ পরিণতি নিয়ে আলোচনা করেন।
বক্তারা বলেন, নামাজ কেবল শরীরচর্চা নয়, এটি আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের অন্যতম মাধ্যম।
মাওলানা আবদুর রশিদ, খিলগাঁও মসজিদের ইমাম, বলেন—
“যে ব্যক্তি নিয়মিত নামাজ পড়ে, সে অন্যায় থেকে বিরত থাকে। আর যে নামাজ ত্যাগ করে, সে ধীরে ধীরে পাপ ও গুনাহের পথে চলে যায়। নামাজ আমাদের জীবনকে শৃঙ্খলিত করে।”
ধর্মীয় বিশ্লেষকরা বলেন, নামাজ হচ্ছে এমন এক ইবাদত যা ধনী-গরিব, শিক্ষিত-অশিক্ষিত—সব মুসলমানকে একই কাতারে দাঁড় করায়। এতে নিহিত আছে সমতা, শৃঙ্খলা ও সামাজিক ঐক্যের শিক্ষা।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন—
“নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।” (সূরা আনকাবুত: ৪৫)
বক্তারা অভিভাবকদের সন্তানদের ছোটবেলা থেকেই নামাজের প্রতি উৎসাহিত করার পরামর্শ দেন। তাঁরা বলেন, নিয়মিত নামাজ কায়েমের মধ্য দিয়েই সমাজে শান্তি, ন্যায় ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
আলেমরা বলেছেন, নামাজ শুধু ফরজ ইবাদত নয়—এটি আত্মশুদ্ধি ও নৈতিকতার সর্বোচ্চ প্রতীক। নামাজ কায়েমে শান্তি, পরিত্যাগে ক্ষতি।









