ঢাকা ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপরে, আশ্রয়ে যাচ্ছেন অনেকেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:৪১:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৪ বার পড়া হয়েছে

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপরে

টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি সমতল রেকর্ড হয়েছে ৫২.৩৩ মিটার, যা বিপদসীমা (৫২.১৫ মিটার) থেকে ১৮ সেন্টিমিটার বেশি।

এর আগে, গতকাল বুধবার সকালে বিপৎসীমা অতিক্রম করে পানি সাত সেন্টিমিটার ওপরে উঠেছিল, পরে তা নেমে আসে চার সেন্টিমিটারে। তবে রাতের বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বৃহস্পতিবার আবারো তা বেড়ে ১৮ সেন্টিমিটার ওপরে পৌঁছায়।

পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাটের আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, সদর ও পাটগ্রাম উপজেলার শতাধিক গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে তিস্তার বাম তীরবর্তী এলাকায় তৃতীয় দফায় বন্যা দেখা দিয়েছে। ডুবে গেছে গ্রামীণ সড়ক, বসতভিটা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি ও গবাদি পশুর খামার।

গোবর্ধন এলাকার বাসিন্দা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘পানি ঢুকেছে ধীরে ধীরে। রান্নাবান্না বন্ধ হয়ে গেছে, বাচ্চারা স্কুলেও যেতে পারছে না। অসহায় হয়ে পড়েছি। কৃষক হামিদুর রহমান জানান, ‘নিচু এলাকায় পানি ঢুকে ফসলি জমি ও পশুপাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছি। প্রশাসনের দ্রুত সহায়তা প্রয়োজন।’

মহিষখোচা ইউনিয়নের এনামুল হক বলেন, ‘এমন পানির মধ্যে কথা বলারও অবস্থা নেই। সকাল থেকে খাবার পাইনি। বার বার বন্যায় জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। চরাঞ্চলের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘নদীর পানি বেড়ে রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। আকাশের পানি আর নদীর পানি এক হয়ে গেছে। মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার জানান, ‘ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।-বাসস

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপরে, আশ্রয়ে যাচ্ছেন অনেকেই

আপডেট সময় : ০৪:৪১:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি সমতল রেকর্ড হয়েছে ৫২.৩৩ মিটার, যা বিপদসীমা (৫২.১৫ মিটার) থেকে ১৮ সেন্টিমিটার বেশি।

এর আগে, গতকাল বুধবার সকালে বিপৎসীমা অতিক্রম করে পানি সাত সেন্টিমিটার ওপরে উঠেছিল, পরে তা নেমে আসে চার সেন্টিমিটারে। তবে রাতের বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বৃহস্পতিবার আবারো তা বেড়ে ১৮ সেন্টিমিটার ওপরে পৌঁছায়।

পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাটের আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, সদর ও পাটগ্রাম উপজেলার শতাধিক গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে তিস্তার বাম তীরবর্তী এলাকায় তৃতীয় দফায় বন্যা দেখা দিয়েছে। ডুবে গেছে গ্রামীণ সড়ক, বসতভিটা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি ও গবাদি পশুর খামার।

গোবর্ধন এলাকার বাসিন্দা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘পানি ঢুকেছে ধীরে ধীরে। রান্নাবান্না বন্ধ হয়ে গেছে, বাচ্চারা স্কুলেও যেতে পারছে না। অসহায় হয়ে পড়েছি। কৃষক হামিদুর রহমান জানান, ‘নিচু এলাকায় পানি ঢুকে ফসলি জমি ও পশুপাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছি। প্রশাসনের দ্রুত সহায়তা প্রয়োজন।’

মহিষখোচা ইউনিয়নের এনামুল হক বলেন, ‘এমন পানির মধ্যে কথা বলারও অবস্থা নেই। সকাল থেকে খাবার পাইনি। বার বার বন্যায় জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। চরাঞ্চলের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘নদীর পানি বেড়ে রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। আকাশের পানি আর নদীর পানি এক হয়ে গেছে। মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার জানান, ‘ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।-বাসস