ঢাকা ১২:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুয়াকাটা সৈকতের ফটোগ্রাফারদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:৪০:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • / ৫৫ বার পড়া হয়েছে

সাগরকন্যা কুয়াকাটা সৈকতের পেশাদার ফটোগ্রাফাররা অনিদ্রিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন কতৃক সৈকতে পর্যটকদের অটিজির মাধ্যমে ছবি ডেলিভারি ও স্টুডিও বন্ধের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে এ কর্ম বিরতি চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছে ফটোগ্রাফাররা। রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন সৈকতের শতাধিক ফটোগ্রাফাররা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সৈকতের ফটোগ্রাফার মোকলেছুর রহমান বাবু বলেন,
গত ৩১ মে বিকেলে পর্যটন হলিডে হোমস এ ফটোগ্রাফারদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। বৈঠকে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব মোঃ রবিউল ইসলাম সৈকতের ফটোগ্রাফারদের সৈকতে বসে পর্যটকদের মাঝে অটিজির মাধ্যমে সাথে সাথে ছবি ডেলিভারি দেয়া ও স্টুডিও বন্ধের জন্য আগামী ৩ জুন পর্যন্ত  তিন দিনের আল্টিমেটাম দেন। উপজেলা প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সৈকতের ফটোগ্রাফাররা উপজেলা প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আজ রবিবার সকাল থেকে কর্ম বিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। যতদিন পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করবেন ততদিন এ কর্ম বিরতি চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছেন ফটোগ্রাফাররা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ফটোগ্রাফাররা জানান, তাদের নিজস্ব কোন ক্যামেরা নেই। স্টুডিও থেকে ক্যামেরা নিয়ে তারা পর্যটকদের ছবি তুলে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। প্রত্যেক ক্যামেরা ম্যানের ৪০-৫০ হাজার টাকা দাদন নেয়া আছে। তাদের নিজস্ব পুঁজি নেই। নতুন করে ডিজিটাল ক্যামেরা কেনার সামর্থ্য নেই। দাদন শোধ করার মত অর্থ নেই তাদের।
তারা আরো বলেন, সৈকতে ২২১ জন পেশাদার ফটোগ্রাফার ও ২৫ টি স্টুডিও রয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সবাই বেকার হয়ে যাবে। ফটোগ্রাফারদের পরিবারের কথা চিন্তা না করে এক তরফাভাবে এমন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা উপজেলা প্রশাসনের এহেন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। খুব শীগ্রই যাতে উপজেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা সহ ফটোগ্রাফাররা আগের মত ছবি তুলে জীবনযাপন করতে পারে তার দাবি জানিয়েছেন। এসময তারা ছবি তুলে পর্যটকদের তাৎক্ষণিক সরবরাহ করার অপকারিতা সম্পর্কে গণমাধ্যম কর্মীদের অবহিত করেন।

আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসময় শতাধিক ফটোগ্রাফাররা উপস্থিত ছিলেন।

এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব মোঃ রবিউল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ চেস্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কুয়াকাটা সৈকতের ফটোগ্রাফারদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা

আপডেট সময় : ০৬:৪০:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

সাগরকন্যা কুয়াকাটা সৈকতের পেশাদার ফটোগ্রাফাররা অনিদ্রিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন কতৃক সৈকতে পর্যটকদের অটিজির মাধ্যমে ছবি ডেলিভারি ও স্টুডিও বন্ধের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে এ কর্ম বিরতি চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছে ফটোগ্রাফাররা। রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন সৈকতের শতাধিক ফটোগ্রাফাররা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সৈকতের ফটোগ্রাফার মোকলেছুর রহমান বাবু বলেন,
গত ৩১ মে বিকেলে পর্যটন হলিডে হোমস এ ফটোগ্রাফারদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। বৈঠকে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব মোঃ রবিউল ইসলাম সৈকতের ফটোগ্রাফারদের সৈকতে বসে পর্যটকদের মাঝে অটিজির মাধ্যমে সাথে সাথে ছবি ডেলিভারি দেয়া ও স্টুডিও বন্ধের জন্য আগামী ৩ জুন পর্যন্ত  তিন দিনের আল্টিমেটাম দেন। উপজেলা প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সৈকতের ফটোগ্রাফাররা উপজেলা প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আজ রবিবার সকাল থেকে কর্ম বিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। যতদিন পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করবেন ততদিন এ কর্ম বিরতি চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছেন ফটোগ্রাফাররা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ফটোগ্রাফাররা জানান, তাদের নিজস্ব কোন ক্যামেরা নেই। স্টুডিও থেকে ক্যামেরা নিয়ে তারা পর্যটকদের ছবি তুলে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। প্রত্যেক ক্যামেরা ম্যানের ৪০-৫০ হাজার টাকা দাদন নেয়া আছে। তাদের নিজস্ব পুঁজি নেই। নতুন করে ডিজিটাল ক্যামেরা কেনার সামর্থ্য নেই। দাদন শোধ করার মত অর্থ নেই তাদের।
তারা আরো বলেন, সৈকতে ২২১ জন পেশাদার ফটোগ্রাফার ও ২৫ টি স্টুডিও রয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সবাই বেকার হয়ে যাবে। ফটোগ্রাফারদের পরিবারের কথা চিন্তা না করে এক তরফাভাবে এমন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা উপজেলা প্রশাসনের এহেন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। খুব শীগ্রই যাতে উপজেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা সহ ফটোগ্রাফাররা আগের মত ছবি তুলে জীবনযাপন করতে পারে তার দাবি জানিয়েছেন। এসময তারা ছবি তুলে পর্যটকদের তাৎক্ষণিক সরবরাহ করার অপকারিতা সম্পর্কে গণমাধ্যম কর্মীদের অবহিত করেন।

আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসময় শতাধিক ফটোগ্রাফাররা উপস্থিত ছিলেন।

এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব মোঃ রবিউল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ চেস্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।