ঢাকা ০১:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লালমনিরহাটে গরু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা!

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১১:২২:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে


লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের তালুক দুলালী গ্রামের বাসিন্দা গরু ব্যবসায়ী কামাল হোসেন। তিনি বছরখানেক আগে একই গ্রামের হাফিজুল ইসলাম (২৭) কে থাপ্পড় দেন। সেই থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতে বুধবার (১১ জুন) বিকেলে কামালকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন হাফিজুল ইসলাম।

কামাল হোসেন হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১২ জুন) তাঁর স্ত্রী মোছাঃ শিউলি বেগমের করা মামলায় এমন অভিযোগ করা হয়েছে। লালমনিরহাটের আদিতমারী থানায় করা হত্যা মামলায় হাফিজুল ইসলামসহ ৫জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আয়শা খাতুন (৫৫) ও আবদুল কুদ্দুস (৬০) নামের দুই আসামিকে বুধবার (১১ জুন) রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। আবদুল কুদ্দুস ও আয়শা খাতুন প্রধান আসামি হাফিজুল ইসলামের বাবা ও মা।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রের ভাষ্য অনুযায়ী, বছরখানেক আগে হাফিজুল ইসলাম (২৭) ভেলাবাড়ীর ফারুক মিয়াকে মারধর করেন। এ সময় কামাল হোসেন (৪০) মারামারি থামিয়ে হাফিজুল ইসলামকে থাপ্পড় মেরে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। থাপ্পড় মারার কারণে আসামিরা কামাল হোসেনের ক্ষতি করার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকেন। গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কামাল নিজ বসত বাড়ি সংলগ্ন বাঁশঝাড়ের নিচে কাঠের তৈরি বেঞ্চের ওপর ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় অন্য আসামিদের পরামর্শ ও সহযোগিতায় হাফিজুল ইসলাম কুড়াল নিয়ে কামালের মাথায় আঘাত করেন। এ সময় কামালের আর্তচিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে হাফিজুল ইসলাম দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক কামালকে মৃত ঘোষণা করেন।

কামাল হোসেনের স্ত্রী শিউলি বেগম বলেন, আমার স্বামী না হয় একটা থাপ্পড় দিছিল, সেই জন্য কি প্রতিশোধ নিতে তাকে এভাবে খুন করতে হবে? আমি এর বিচার চাই, আসামির ফাঁসি চাই।

আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলী আকবর বলেন, এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেফতারের পর আজ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

লালমনিরহাটে গরু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা!

আপডেট সময় : ১১:২২:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫


লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের তালুক দুলালী গ্রামের বাসিন্দা গরু ব্যবসায়ী কামাল হোসেন। তিনি বছরখানেক আগে একই গ্রামের হাফিজুল ইসলাম (২৭) কে থাপ্পড় দেন। সেই থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতে বুধবার (১১ জুন) বিকেলে কামালকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন হাফিজুল ইসলাম।

কামাল হোসেন হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১২ জুন) তাঁর স্ত্রী মোছাঃ শিউলি বেগমের করা মামলায় এমন অভিযোগ করা হয়েছে। লালমনিরহাটের আদিতমারী থানায় করা হত্যা মামলায় হাফিজুল ইসলামসহ ৫জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আয়শা খাতুন (৫৫) ও আবদুল কুদ্দুস (৬০) নামের দুই আসামিকে বুধবার (১১ জুন) রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। আবদুল কুদ্দুস ও আয়শা খাতুন প্রধান আসামি হাফিজুল ইসলামের বাবা ও মা।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রের ভাষ্য অনুযায়ী, বছরখানেক আগে হাফিজুল ইসলাম (২৭) ভেলাবাড়ীর ফারুক মিয়াকে মারধর করেন। এ সময় কামাল হোসেন (৪০) মারামারি থামিয়ে হাফিজুল ইসলামকে থাপ্পড় মেরে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। থাপ্পড় মারার কারণে আসামিরা কামাল হোসেনের ক্ষতি করার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকেন। গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কামাল নিজ বসত বাড়ি সংলগ্ন বাঁশঝাড়ের নিচে কাঠের তৈরি বেঞ্চের ওপর ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় অন্য আসামিদের পরামর্শ ও সহযোগিতায় হাফিজুল ইসলাম কুড়াল নিয়ে কামালের মাথায় আঘাত করেন। এ সময় কামালের আর্তচিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে হাফিজুল ইসলাম দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক কামালকে মৃত ঘোষণা করেন।

কামাল হোসেনের স্ত্রী শিউলি বেগম বলেন, আমার স্বামী না হয় একটা থাপ্পড় দিছিল, সেই জন্য কি প্রতিশোধ নিতে তাকে এভাবে খুন করতে হবে? আমি এর বিচার চাই, আসামির ফাঁসি চাই।

আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলী আকবর বলেন, এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেফতারের পর আজ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।