ঢাকা ০৩:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লাওসের বিপক্ষে জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দুই বছর পর এক ম্যাচে জোড়া গোল নেইমারের গণতন্ত্রের পথকে সুগম করার উদ্যোগে সরকারকে তারেক রহমানের ধন্যবাদ নেতানিয়াহুর কারণে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষদের কাছে ইসরায়েল এখন বর্জনীয় রাষ্ট্র: বেনেট ভারতের যেকোনো জায়গায় পাকিস্তান আঘাত হানতে সক্ষম: আহমেদ শরীফ হিজবুল্লাহর হুঁশিয়ারি, ‘এক ঘণ্টার মধ্যেই ধ্বংস হতে পারে ইসরায়েলের নিরাপত্তা’ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ১৫ দিন পর উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে পাঠদান শুরু ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণা গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সুগম করবে : মির্জা ফখরুল Malaysia Airlines Champions Elevated Journeys with ‘Time for Premium Escapades’ প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানাল বিএনপি

রিয়াদ যে নাহিদ ইসলামের শেল্টারে ছিল সেটা আমি জানতাম : জুলকারনাইন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:২০:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
  • / ৮১ বার পড়া হয়েছে

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সঙ্গে রিয়াদ (বাঁয়ে) এবং সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।

চাঁদাবাজি করতে গিয়ে হাতেনাতে গ্রেপ্তার আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদ জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের শেল্টারে থাকার বিষয়টি জানতেন বলে দাবি করেছেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার রিয়াদকে পাকড়াও করার ঘটনায় তার কোনো হাত নেই বলেও জানিয়েছেন সায়ের।

আজ বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব তথ্য জানান জুলকারনাইন সায়ের। ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, নাহিদ ইসলাম আপনার অবগতির জন্যে জানাচ্ছি, আমি বৈষম্যবিরোধী চাঁদাবাজ রিয়াদকে কোনো রকমের সার্ভেলেন্সে রাখি নাই।

আর সে চাঁদা আনতে গিয়ে যে সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেটা লাগানোতেও আমার কোনো ভূমিকা নাই। রিয়াদ যে আপনার শেল্টারে ছিল সেটা আমি জানতাম। পরে জানতে পারলাম, আপনার ও আপনার বাবার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার কথা। তিনি আরো বলেন, আপনি (নাহিদ ইসলাম) আমার ওপর ক্ষেপে গেছেন কারণ আপনাকে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে যে রিয়াদকে ধরিয়ে দিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নাকি আমার।

আমি দৃঢ়ভাবে আপনাকে জানিয়ে দিতে চাই যে, চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার রিয়াদকে পাকড়াও করার ঘটনায় আমার কোনো হাত নাই।

ওই ফেসবুক পোস্টে কয়েকটি প্রশ্ন করেন সাংবাদিক জুলকারনাইন। 

প্রশ্নগুলো হলো-

১. বিপ্লবের আগে ছাত্রশক্তির ঢাবিতে লোকবল কত ছিল? 
২. দেশের অন্য কোন-কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের কমিটি ছিল?
৩. বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের নাহিদ ইসলাম ৫ আগস্টের পূর্বে চিনতেন কি না? 
৪. কেবল ছাত্রশক্তির বিপ্লব সংগঠিত করার মতো সাংগঠনিক কাঠামো ছিল কি না? 
৫. গুটিকয়েক সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী না জানালে সাদেক কায়েমের অবদানের কথা নাহিদ ইসলামরা জাতিকে জানাতেন কি না?

এর আগে আজ দুপুরে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা সাদিক কায়েক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সমন্বয়ক ছিলেন না। ৫ আগস্টের পর তিনি এই পরিচয় ব্যবহার করেছেন। অভ্যুত্থানে শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকায় সংবাদ সম্মেলনে সাদিক কায়েমকে রাখা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

রিয়াদ যে নাহিদ ইসলামের শেল্টারে ছিল সেটা আমি জানতাম : জুলকারনাইন

আপডেট সময় : ০৪:২০:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

চাঁদাবাজি করতে গিয়ে হাতেনাতে গ্রেপ্তার আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদ জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের শেল্টারে থাকার বিষয়টি জানতেন বলে দাবি করেছেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার রিয়াদকে পাকড়াও করার ঘটনায় তার কোনো হাত নেই বলেও জানিয়েছেন সায়ের।

আজ বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব তথ্য জানান জুলকারনাইন সায়ের। ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, নাহিদ ইসলাম আপনার অবগতির জন্যে জানাচ্ছি, আমি বৈষম্যবিরোধী চাঁদাবাজ রিয়াদকে কোনো রকমের সার্ভেলেন্সে রাখি নাই।

আর সে চাঁদা আনতে গিয়ে যে সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেটা লাগানোতেও আমার কোনো ভূমিকা নাই। রিয়াদ যে আপনার শেল্টারে ছিল সেটা আমি জানতাম। পরে জানতে পারলাম, আপনার ও আপনার বাবার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার কথা। তিনি আরো বলেন, আপনি (নাহিদ ইসলাম) আমার ওপর ক্ষেপে গেছেন কারণ আপনাকে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে যে রিয়াদকে ধরিয়ে দিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নাকি আমার।

আমি দৃঢ়ভাবে আপনাকে জানিয়ে দিতে চাই যে, চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার রিয়াদকে পাকড়াও করার ঘটনায় আমার কোনো হাত নাই।

ওই ফেসবুক পোস্টে কয়েকটি প্রশ্ন করেন সাংবাদিক জুলকারনাইন। 

প্রশ্নগুলো হলো-

১. বিপ্লবের আগে ছাত্রশক্তির ঢাবিতে লোকবল কত ছিল? 
২. দেশের অন্য কোন-কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের কমিটি ছিল?
৩. বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের নাহিদ ইসলাম ৫ আগস্টের পূর্বে চিনতেন কি না? 
৪. কেবল ছাত্রশক্তির বিপ্লব সংগঠিত করার মতো সাংগঠনিক কাঠামো ছিল কি না? 
৫. গুটিকয়েক সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী না জানালে সাদেক কায়েমের অবদানের কথা নাহিদ ইসলামরা জাতিকে জানাতেন কি না?

এর আগে আজ দুপুরে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা সাদিক কায়েক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সমন্বয়ক ছিলেন না। ৫ আগস্টের পর তিনি এই পরিচয় ব্যবহার করেছেন। অভ্যুত্থানে শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকায় সংবাদ সম্মেলনে সাদিক কায়েমকে রাখা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।