ঢাকা ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিট থাকতে ঘুম থেকে ওঠার পর যেসব কাজ করবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:১৩:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৩ বার পড়া হয়েছে

ঘুম থেকে ওঠার পর যে ভুল করতে মানা

শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে কিংবা শরীরচর্চা করে ওজন কমানো যায়- এমন ধারণা রয়েছে অনেকেরই। কিন্তু আসলে তা সঠিক নয়। ফিট থাকতে জীবনযাপন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা খুবই জরুরি। ফিট থাকতে সময় মতো সঠিক খাবার খাওয়া, সঠিক শরীরচর্চা করা, রাতে ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম অত্যাবশ্যকীয়।

অনেকেই রাত জাগেন, দেরিতে ঘুম থেকে উঠেন। কিন্তু ফিট থাকতে হলে প্রতিদিন নিয়ম করে রাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়া ও খুব সকালে ঘুম থেকে উঠা জরুরি, এতে শরীরের জৈবিক ঘড়ি একদম সঠিক ছন্দে চলবে। এছাড়াও ফিট থাকতে আরও কিছু কাজ করা যেতে পারে।

ডিটক্স ওয়াটার পান

ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে দুই গ্লাস পানি পান করুন। এতে পেট পরিষ্কার হবে, শরীরও হাইড্রেটেড থাকবে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি হালকা গরম পানিতে দারুচিনির গুঁড়ো কিংবা লেবুর রস মিশিয়ে খান। এতে ইনসুলিন সেনসিভিটি উন্নত হয় এবং ইমিউনিটি বাড়ে।

সকালের নাশতায় সঠিক খাবার

সকালের নাশতা কোনোভাবেই এড়ানো ঠিক নয়। সকালের নাশতায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখবেন। সাথে ফাইবার রাখাটাও জরুরি। সকালের নাশতায় টকদই, চিয়া সিডস, আটার রুটি, ডিম সিদ্ধ, ওটস ইত্যাদি রাখতে পারেন।

চিনি ও ময়দা বাদ দেওয়া

চিনি ও রিফাইন্ড কার্বস থেকে দূরে থাকুন। চিনি ও ময়দার তৈরি খাবার সকালের নাশতায় রাখবেন না। এতে সুগার লেভেল বাড়তে পারে। এই দুই খাবার খাদ্যতালিকা থেকে পুরোপুরি বাদ দিন।

কফি পান

অনেকেই দিন শুরু করে চা-কফি দিয়ে। কিন্তু খালি পেটে চা-কফি খাওয়া ঠিক নয়। এতে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বাড়ে। তাই চা-কফি সব সময় ভারী নাশতা খাওয়ার পরই খাবেন।

রোদে হাঁটা

গায়ে রোদ লাগানোও জরুরি। সানস্ক্রিন মেখে হলেও রোদে ১০ মিনিট হাঁটুন। সকালবেলায় যখন রোদের তেজ কম থাকে, তখন রোদে হাঁটতে পারেন। এতে দেহে ভিটামিন ডি তৈরি হবে। পাশাপাশি দেহের জৈবিক ঘড়িও সঠিক ছন্দে চলবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ফিট থাকতে ঘুম থেকে ওঠার পর যেসব কাজ করবেন

আপডেট সময় : ০৭:১৩:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে কিংবা শরীরচর্চা করে ওজন কমানো যায়- এমন ধারণা রয়েছে অনেকেরই। কিন্তু আসলে তা সঠিক নয়। ফিট থাকতে জীবনযাপন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা খুবই জরুরি। ফিট থাকতে সময় মতো সঠিক খাবার খাওয়া, সঠিক শরীরচর্চা করা, রাতে ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম অত্যাবশ্যকীয়।

অনেকেই রাত জাগেন, দেরিতে ঘুম থেকে উঠেন। কিন্তু ফিট থাকতে হলে প্রতিদিন নিয়ম করে রাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়া ও খুব সকালে ঘুম থেকে উঠা জরুরি, এতে শরীরের জৈবিক ঘড়ি একদম সঠিক ছন্দে চলবে। এছাড়াও ফিট থাকতে আরও কিছু কাজ করা যেতে পারে।

ডিটক্স ওয়াটার পান

ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে দুই গ্লাস পানি পান করুন। এতে পেট পরিষ্কার হবে, শরীরও হাইড্রেটেড থাকবে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি হালকা গরম পানিতে দারুচিনির গুঁড়ো কিংবা লেবুর রস মিশিয়ে খান। এতে ইনসুলিন সেনসিভিটি উন্নত হয় এবং ইমিউনিটি বাড়ে।

সকালের নাশতায় সঠিক খাবার

সকালের নাশতা কোনোভাবেই এড়ানো ঠিক নয়। সকালের নাশতায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখবেন। সাথে ফাইবার রাখাটাও জরুরি। সকালের নাশতায় টকদই, চিয়া সিডস, আটার রুটি, ডিম সিদ্ধ, ওটস ইত্যাদি রাখতে পারেন।

চিনি ও ময়দা বাদ দেওয়া

চিনি ও রিফাইন্ড কার্বস থেকে দূরে থাকুন। চিনি ও ময়দার তৈরি খাবার সকালের নাশতায় রাখবেন না। এতে সুগার লেভেল বাড়তে পারে। এই দুই খাবার খাদ্যতালিকা থেকে পুরোপুরি বাদ দিন।

কফি পান

অনেকেই দিন শুরু করে চা-কফি দিয়ে। কিন্তু খালি পেটে চা-কফি খাওয়া ঠিক নয়। এতে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বাড়ে। তাই চা-কফি সব সময় ভারী নাশতা খাওয়ার পরই খাবেন।

রোদে হাঁটা

গায়ে রোদ লাগানোও জরুরি। সানস্ক্রিন মেখে হলেও রোদে ১০ মিনিট হাঁটুন। সকালবেলায় যখন রোদের তেজ কম থাকে, তখন রোদে হাঁটতে পারেন। এতে দেহে ভিটামিন ডি তৈরি হবে। পাশাপাশি দেহের জৈবিক ঘড়িও সঠিক ছন্দে চলবে।