ঢাকা ০৯:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গৃহকর্মী ধর্ষণ মামলায় ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নাতির যাবজ্জীবন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:১৩:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি : সংগৃহীত

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার নাতি ও সাবেক এমপি প্রজ্বল রেভান্নাকে গৃহকর্মী ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কর্ণাটকের একটি আদালত। শনিবার (২ আগস্ট) এই রায় ঘোষণা করা হয়, যার আগের দিনই তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।

৩৪ বছর বয়সী রেভান্না কর্ণাটকের এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। ২০২৩ সালে সামাজিক মাধ্যমে শত শত আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ সামনে আসে এবং দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

রায় ঘোষণার সময় রেভান্না আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং শাস্তি লঘু করার আবেদন করেন। যদিও তিনি আপিল করার সুযোগ পাবেন, তবে দোষ অস্বীকার করেও তিনি শাস্তি থেকে রেহাই পাননি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে নির্যাতনের ভিডিওগুলো ভাইরাল হওয়ার পর রেভান্না কূটনৈতিক পাসপোর্ট ব্যবহার করে দেশত্যাগ করেন। তার অফিস তখন দাবি করেছিল, ভিডিওগুলো ‘নকল’ বা ‘সাজানো’। কিন্তু আদালতের রায়ে তা মানা হয়নি।

রেভান্নার দাদা দেবগৌড়ার দল জনতা দল (সেক্যুলার) বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপির মিত্র হিসেবে রয়েছে। ভারতের মতো দেশে এমন প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্যের দৃষ্টান্তমূলক সাজা একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

গৃহকর্মী ধর্ষণ মামলায় ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নাতির যাবজ্জীবন

আপডেট সময় : ০৭:১৩:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার নাতি ও সাবেক এমপি প্রজ্বল রেভান্নাকে গৃহকর্মী ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কর্ণাটকের একটি আদালত। শনিবার (২ আগস্ট) এই রায় ঘোষণা করা হয়, যার আগের দিনই তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।

৩৪ বছর বয়সী রেভান্না কর্ণাটকের এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। ২০২৩ সালে সামাজিক মাধ্যমে শত শত আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ সামনে আসে এবং দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

রায় ঘোষণার সময় রেভান্না আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং শাস্তি লঘু করার আবেদন করেন। যদিও তিনি আপিল করার সুযোগ পাবেন, তবে দোষ অস্বীকার করেও তিনি শাস্তি থেকে রেহাই পাননি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে নির্যাতনের ভিডিওগুলো ভাইরাল হওয়ার পর রেভান্না কূটনৈতিক পাসপোর্ট ব্যবহার করে দেশত্যাগ করেন। তার অফিস তখন দাবি করেছিল, ভিডিওগুলো ‘নকল’ বা ‘সাজানো’। কিন্তু আদালতের রায়ে তা মানা হয়নি।

রেভান্নার দাদা দেবগৌড়ার দল জনতা দল (সেক্যুলার) বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপির মিত্র হিসেবে রয়েছে। ভারতের মতো দেশে এমন প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্যের দৃষ্টান্তমূলক সাজা একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।