জাতিকে স্বাধীনতার পক্ষে-বিপক্ষে বক্তব্য দিয়ে বিভক্ত করা যাবে না : সালাহউদ্দিন

- আপডেট সময় : ০৫:০১:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫
- / ৮ বার পড়া হয়েছে

সিরডাপ মিলনায়তনে এক সভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
স্বাধীনতার পক্ষে-বিপক্ষে বক্তব্য দিয়ে জাতিকে আর বিভক্ত করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে বলে বাণিজ্য হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মানুষকে বিভক্ত করা হয়েছে। স্বাধীনতার পক্ষে-বিপক্ষে বক্তব্য দিয়ে জাতিকে আর বিভক্ত করা যাবে না।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আদিবাসী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী প্রসঙ্গ ও জাতীয় নিরাপত্তা ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনাসভা করে সিএইচটিআরএফ।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বাংলাদেশকে একটি বৈষম্যহীন শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গঠন করতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য ফ্যাসিস্ট বড় হুমকি। এই ভূখণ্ড নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যেকোনো পরিকল্পনা যাতে সফল হতে না পারে, সে জন্য সশস্ত্র বাহিনী, নিরাপত্তা বাহিনী ও বুদ্ধিজীবী মহল সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামক নিষিদ্ধঘোষিত সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর ঘটনা চিন্তিত করেছে বলে জানালেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সিএইচটিআরএফ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আদিবাসী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী প্রসঙ্গ ও জাতীয় নিরাপত্তা ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এখানে আমাদের পার্বত্য অঞ্চল, ভারতের একটি অঞ্চল এবং মিয়ানমারের একটি অঞ্চল নিয়ে বৈশ্বিক কোনো কোনো শক্তির পরিকল্পনা আছে। সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়নের জন্য এই ভূখণ্ডকে হয়তো বা তারা অন্যভাবে সাজাতে চায়। সাম্প্রতিককালে কয়েকটি ঘটনা আমাদের চিন্তিত করেছে। কুকি-চিনের ঘটনা আমাদের চিন্তিত করেছে, নিরাপত্তাবাহিনীকে চিন্তিত করেছে। এর পেছনে অনেক কারণ আছে। যেটা আমরা সাদা চোখে দেখছি, সেটার পেছনে পর্দার আড়ালে অনেক কারণ থাকে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই জানি যে, আমাদের হিল ট্র্যাকস নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা বিভিন্ন সময় থেকেই চালু আছে। সেটি অনেক পুরোনো। সেই বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আমরা সবাই যদি অখণ্ড বাংলাদেশে বিশ্বাস করি, একই সংবিধানে বিশ্বাস করি, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডকতাকে বজায় রাখতে চাই। তাহলে সবাইকে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে সেই অধিকারকে সাংবিধানিকভাবে ধারণ করতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘যেন আমাদের মধ্যে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে কোনো রকম ষড়যন্ত্র কার্যকর না হতে পারে, সেজন্য যারা সচেতন আমাদের সবাইকে চেষ্টা চালাতে হবে। আমাদের সজাগ থাকতে হবে। যেন আন্তর্জাতিক কোনো পরিকল্পনা কেউ সফল করতে না পারে। এজন্য আমাদের জাতীয় নিরাপত্তাবাহিনী, বুদ্ধিজীবী, গবেষক, সাংবাদিক সবাইকে সমন্বিতভাবে প্রচেষ্ট থাকতে হবে। যেন স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতা আমরা বজায় রাখতে পারি।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএইচটিআরএফেরে চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান পলাশ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) ড. মো. নাঈম আশফাক চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোলের অধ্যাপক ড. আব্দুর রব, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রুইথি কারবারি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারেক ফজল, বাংলাদেশ লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।