কলাপাড়ায় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ

- আপডেট সময় : ১০:০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
- / ৭৬ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মাতৃত্বকালীন ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতার তালিকাভুক্তির নামে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা করে আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, গত দুই থেকে তিন মাস ধরে এই অর্থ আদায়ের ঘটনা ঘটে আসছে। তাদের ভাষ্যমতে, সরকারি এই সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় অন্তঃসত্ত্বা নারী ও প্রতিবন্ধীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নুরুন্নাহার নিয়মিতভাবে টাকা আদায় করেছেন। এতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী জানান, ওই মহিলা মেম্বার একেকটা ওয়ার্ড থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। নাম তালিকায় না রাখার ভয়ে অনেকে মুখ খুলতে সাহস পান না। এভাবে অনেকের ভাতার নাম বাদ পড়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত সুবিধাভোগীরা।
তারা আরও বলেন, এ ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ অব্যাহত থাকলে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা হারাবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এলাকাবাসী জানান, লতাচাপলী ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা আসনের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নুরুন্নাহার প্রতি আবেদনকারীর কাছ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নুরুন্নাহারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কারও কাছ থেকে কোনো টাকা-পয়সা নেইনি। আমাকে হেয়-প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে এগুলো সব মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, যদি কোনো ইউপি সদস্য ভাতার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তকরণের ক্ষেত্রে কোনো টাকা পয়সা নিয়ে এ কাজ করে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।