প্রায় নয় মাস আগেকার ঘটনা। ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের পর বাংলাদেশ সরকার এক বিবৃতি দিয়ে অভিযোগ করে—ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। এ ঘটনায় ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদও জানায় ঢাকা।
পরদিনই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাল্টা বিবৃতি দিয়ে জানায়, শেখ হাসিনা যা বলছেন তা তিনি ‘ব্যক্তি শেখ হাসিনা’ হিসেবে বলছেন, ভারতের সরকার তার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। ভারতের তরফে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক ব্যর্থতার জন্য ভারতকে দায়ী করা হলে তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য সহায়ক হবে না।
এরপর থেকেই শেখ হাসিনার অবস্থান ও প্রকাশ্য মন্তব্য নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন বেড়েছে। এমনকি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যেও।
বাংলাদেশের দাবি—জুলাই গণহত্যায় অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত আশ্রয় দিতে পারে, কিন্তু বিদ্যমান প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী তাকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য হস্তান্তর করা উচিত।








