দীর্ঘ ৯ মাস পর ১ নভেম্বর থেকে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়াস্থ বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে জাহাজ ছাড়ার কথা থাকলেও প্রথম দিন সকালে কোনো জাহাজ ছাড়েনি। সরকারি রাত্রিযাপনের বিধিনিষেধ এবং পর্যটক সংকটের কারণে জাহাজ মালিকপক্ষের অনাগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর ঢাকা পোস্টকে বলেন, “সেন্ট মার্টিন কেন্দ্রিক পর্যটনশিল্পকে বাঁচাতে হলে সরকারকে সদয় দৃষ্টি দিতে হবে। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা পর্যটকদের জন্য ভোগান্তির কারণে মালিকপক্ষ জাহাজ ছাড়তে আগ্রহী নয়।”
ঢাকার উত্তরা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা পর্যটক খোরশেদ আলম বলেন, “ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও রাত্রিযাপনের সুযোগ না থাকায় মাত্র এক বা দেড় ঘণ্টার জন্য সেন্ট মার্টিনে যাওয়া সম্ভব নয়। সরকার যেন পর্যটকদের সুবিধা বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেন।”
স্থানীয় ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম জানান, পর্যটন মৌসুমে দ্বীপ ও স্থানীয়দের জীবিকা পর্যটন কর্মকাণ্ডের ওপর নির্ভর করে। পর্যটক না আসায় দ্বীপবাসীরা বিপাকে পড়েছেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় গত ২২ অক্টোবর সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে প্রযোজ্য ১২টি নির্দেশনা জারি করেছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান জানান, দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, সরকারি বিধিনিষেধ ও নিয়মাবলী পর্যটকদের সুবিধার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিবর্তন করা হলে সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ আবারও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।









