ঢাকা ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
“বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে ঐকমত্য কমিশন” রক্তের সিঁড়ি তৈরি হয়েছে ১৬ বছরের আন্দোলনে : সালাহউদ্দিন আহমদ গাজা দখলের বিরুদ্ধে ইসরায়েলে নজিরবিহীন বিক্ষোভ, সৈন্যদের যুদ্ধে না যাওয়ার আহ্বান তুষারের ‘নগ্ন ভিডিও’ ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি নীলার ট্রাম্পের ১৫ হাজার ডলারের ভিসা বন্ড কর্মসূচি, নিশানায় কারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দুর্নীতি প্রশ্রয় দিতেন না : দুদক চেয়ারম্যান জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ১১ সেপ্টেম্বর মুক্তির আগেই ‘কুলি’র আয় ২৫০ কোটি প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়া সফরে স্বাক্ষর হতে পারে ৫ সমঝোতা স্মারক ২০৩০ সালে আইডিয়াই হবে মূল চালিকা শক্তি: স্যাম অল্টম্যান

২০৩০ সালে আইডিয়াই হবে মূল চালিকা শক্তি: স্যাম অল্টম্যান

প্রযুক্তি ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৩১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
  • / ২ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে সারা বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্যাম অল্টম্যান ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, ২০৩০-এর দশকে মানুষের কাছে সবচেয়ে বড় সম্পদ হবে সৃজনশীল আইডিয়া। তিনি বলেন, ‘আমরা সেই সীমারেখা পেরিয়ে গেছি—যে সীমা পেরোলে আর ফেরা যায় না। যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। মানুষ এখন ডিজিটাল সুপারইন্টেলিজেন্স তৈরির খুব কাছাকাছি।

অল্টম্যান তাঁর ব্লগে লিখেছেন, এখনো রাস্তায় রোবট হাঁটছে না, বা মহাকাশে যাওয়া সহজ হয়নি। তবু এমন প্রযুক্তি তৈরি হয়েছে, যা অনেক ক্ষেত্রে মানুষের চেয়েও বুদ্ধিমান। এসব প্রযুক্তি মানুষের সক্ষমতা বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে।

তিনি জানান, ২০২৫ সালে এমন এআই এজেন্ট এসেছে, যা চিন্তাশীল কাজ করতে পারে। ২০২৬ সালে হয়তো এমন এআই আসবে, যা নতুন নতুন আবিষ্কার করতে পারবে। আর ২০২৭ সালে এমন রোবট আসতে পারে, যারা বাস্তব পৃথিবীতে মানুষের মতো কাজ করবে। এতে ব্যক্তি একাই আগের চেয়ে অনেক বেশি কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।

অল্টম্যান মনে করেন, বিজ্ঞান ও উৎপাদনশীলতা দ্রুত এগোবে। ‘এক দশকের গবেষণা এক বছরে বা এক মাসে শেষ করা সম্ভব হবে।’ তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘ছোট্ট কোনো ভুল দৃষ্টিভঙ্গি কোটি মানুষের ওপর প্রভাব ফেললে তার বড় নেতিবাচক ফল হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, উন্নত এআই ব্যবহার করে এআই নিয়ে গবেষণা করায় উন্নয়নের গতি বদলে যাবে। ভবিষ্যতে হয়তো রোবট নিজেরাই রোবট তৈরি করবে এবং সাপ্লাই চেইন চালাবে। এতে প্রযুক্তির অগ্রগতি দ্রুত হবে, যদিও অনেক চাকরি হারিয়ে যাবে। কিন্তু বিশ্ব দ্রুত ধনী হয়ে উঠবে এবং নতুন সামাজিক চুক্তি বাস্তবায়নের সুযোগ তৈরি হবে।

‘আমরা পৃথিবীর জন্য একটি মস্তিষ্ক তৈরি করছি। এটা হবে ব্যক্তিকেন্দ্রিক, সহজলভ্য। প্রয়োজন হবে শুধু একটি জিনিস—ভালো আইডিয়া।’—বলেন অল্টম্যান।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

২০৩০ সালে আইডিয়াই হবে মূল চালিকা শক্তি: স্যাম অল্টম্যান

আপডেট সময় : ০৫:৩১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে সারা বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্যাম অল্টম্যান ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, ২০৩০-এর দশকে মানুষের কাছে সবচেয়ে বড় সম্পদ হবে সৃজনশীল আইডিয়া। তিনি বলেন, ‘আমরা সেই সীমারেখা পেরিয়ে গেছি—যে সীমা পেরোলে আর ফেরা যায় না। যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। মানুষ এখন ডিজিটাল সুপারইন্টেলিজেন্স তৈরির খুব কাছাকাছি।

অল্টম্যান তাঁর ব্লগে লিখেছেন, এখনো রাস্তায় রোবট হাঁটছে না, বা মহাকাশে যাওয়া সহজ হয়নি। তবু এমন প্রযুক্তি তৈরি হয়েছে, যা অনেক ক্ষেত্রে মানুষের চেয়েও বুদ্ধিমান। এসব প্রযুক্তি মানুষের সক্ষমতা বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে।

তিনি জানান, ২০২৫ সালে এমন এআই এজেন্ট এসেছে, যা চিন্তাশীল কাজ করতে পারে। ২০২৬ সালে হয়তো এমন এআই আসবে, যা নতুন নতুন আবিষ্কার করতে পারবে। আর ২০২৭ সালে এমন রোবট আসতে পারে, যারা বাস্তব পৃথিবীতে মানুষের মতো কাজ করবে। এতে ব্যক্তি একাই আগের চেয়ে অনেক বেশি কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।

অল্টম্যান মনে করেন, বিজ্ঞান ও উৎপাদনশীলতা দ্রুত এগোবে। ‘এক দশকের গবেষণা এক বছরে বা এক মাসে শেষ করা সম্ভব হবে।’ তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘ছোট্ট কোনো ভুল দৃষ্টিভঙ্গি কোটি মানুষের ওপর প্রভাব ফেললে তার বড় নেতিবাচক ফল হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, উন্নত এআই ব্যবহার করে এআই নিয়ে গবেষণা করায় উন্নয়নের গতি বদলে যাবে। ভবিষ্যতে হয়তো রোবট নিজেরাই রোবট তৈরি করবে এবং সাপ্লাই চেইন চালাবে। এতে প্রযুক্তির অগ্রগতি দ্রুত হবে, যদিও অনেক চাকরি হারিয়ে যাবে। কিন্তু বিশ্ব দ্রুত ধনী হয়ে উঠবে এবং নতুন সামাজিক চুক্তি বাস্তবায়নের সুযোগ তৈরি হবে।

‘আমরা পৃথিবীর জন্য একটি মস্তিষ্ক তৈরি করছি। এটা হবে ব্যক্তিকেন্দ্রিক, সহজলভ্য। প্রয়োজন হবে শুধু একটি জিনিস—ভালো আইডিয়া।’—বলেন অল্টম্যান।