গাজা দখলের বিরুদ্ধে ইসরায়েলে নজিরবিহীন বিক্ষোভ, সৈন্যদের যুদ্ধে না যাওয়ার আহ্বান

- আপডেট সময় : ০৬:৫১:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
- / ২ বার পড়া হয়েছে
গাজা শহর দখলের ইসরায়েলি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তেল আবিব ও ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছেন। জিম্মিদের পরিবার সৈন্যদের এই যুদ্ধে অংশ না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তাদের আশঙ্কা, এই সামরিক অভিযান তাদের প্রিয়জনদের জীবনের জন্য হুমকি তৈরি করবে। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
স্থানীয় সময় শনিবারের (৯ আগস্ট) এই বিক্ষোভ গত কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড়। সামরিক বাহিনীর আপত্তি সত্ত্বেও ঘনবসতিপূর্ণ গাজা শহর দখলের সিদ্ধান্তের পর এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল যে, এই পদক্ষেপ বন্দিদের জীবন বিপন্ন করবে, সৈন্যদের অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকির মুখে ফেলবে ও গাজার মানবিক পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করবে।
জিম্মি ও নিখোঁজ পরিবারের ফোরাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, আমাদের প্রিয়জনদের বলি দেওয়ার সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর একটি লাল পতাকা উড়ছে। ফোরাম সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, একটি বিস্তৃত জিম্মি চুক্তিতে পৌঁছান, যুদ্ধ বন্ধ করুন, আমাদের প্রিয়জনদের ফিরিয়ে আনুন, তাদের সময় শেষ।
প্রাক্তন বন্দি শ্যারন অ্যালোনি-কুনিও তেল আবিবের হোস্টেজেস স্কোয়ারে হাজার হাজার মানুষের সামনে বক্তব্য দেন। গাজায় বন্দি তার স্বামী ডেভিড কুনিওকে স্মরণ করে তিনি বলেন, সরকার যুদ্ধের নামে একটি ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটাচ্ছে। তারা জিম্মিদের বাঁচানোর জন্য কিছুই করছে না, বরং প্রকাশ্যেই বলছে প্রয়োজনে তারা জিম্মিদের জীবনও ঝুঁকির মুখে ফেলবে।
শ্যারন সরকারকে সতর্ক করে বলেন, যদি ঈশ্বর না করুন আমার ডেভিডের অথবা অন্য কোনো জিম্মির কিছু ঘটে, তাহলে তার দায় আপনাদের হাতে।
হামাসের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া আরেক ব্যক্তি এলিয়া কোহেনও তার বক্তৃতায় এই সংকটের ভয়াবহতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, যখন তারা জানেন যে এমন অনেক পরিবার আছে যারা তাদের প্রিয়জনদের ফিরে পাওয়ার সুযোগ নাও পেতে পারে, তখন কোনো উৎসব পালন করা অসম্ভব।