কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমতে শুরু করায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। গত এক মাসে বসতভিটাসহ ১৫০টি পরিবার নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে আরও কয়েকশ পরিবার, আবাদি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও স্থানীয় বাজার। চরশৌলমারী ইউনিয়নের সুখেরবাতি, সোনাপুর, ঘুঘুমারী ও নামাজেরচর এলাকায় ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। নদীগর্ভে হারিয়ে যাওয়া পরিবারগুলো এখন আশ্রয় নিয়েছে অন্যের জমিতে।
ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতি বছর ভাঙনের শিকার হলেও স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। দায়সারা ভাবে কিছু জিও ব্যাগ ফেলেই কর্তব্য শেষ করে সংশ্লিষ্টরা।
ব্রহ্মপুত্র পাড়ের বাসিন্দা মজিদ মিয়া, মোত্তালেব হোসেন, আমিনা বেগম, বাদশা মিয়াসহ অনেকে বলেন, ‘নির্বাচনের আগে নেতারা আসে, কর্মকর্তারা আসে, অনেক আশ্বাস দিয়ে চলে যায়—কাজের কাজ কিছুই হয় না। আমাদের ভাগ্যটাই খারাপ।
একইভাবে নদীগর্ভে বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব শিল্পী বেগম বলেন, ‘সবকিছু নদীতে চলে গেছে। এখন অন্যের জমিতে ঠাঁই নিয়েছি। কী করবো, কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। আরেক ক্ষতিগ্রস্ত আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘তিন দিন আগে বসতভিটা ও আবাদি জমি সবই নদীতে চলে গেছে। এখন আর কিছুই নেই।
চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কেএইচএম সাইদুর রহমান দুলাল বলেন, ‘প্রতি বছর পানি বাড়া-কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়। অনেকেই সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। আমাদের চোখের সামনে সব কিছু নদীতে চলে যাচ্ছে। সরকারের কাছে দাবি, জরুরি ভিত্তিতে নদীর বাম তীর সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। তবে অর্থ সংকটে বড় ধরনের কোনো প্রকল্প এখনই শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।