ঢাকা ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
“বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে ঐকমত্য কমিশন” রক্তের সিঁড়ি তৈরি হয়েছে ১৬ বছরের আন্দোলনে : সালাহউদ্দিন আহমদ গাজা দখলের বিরুদ্ধে ইসরায়েলে নজিরবিহীন বিক্ষোভ, সৈন্যদের যুদ্ধে না যাওয়ার আহ্বান তুষারের ‘নগ্ন ভিডিও’ ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি নীলার ট্রাম্পের ১৫ হাজার ডলারের ভিসা বন্ড কর্মসূচি, নিশানায় কারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দুর্নীতি প্রশ্রয় দিতেন না : দুদক চেয়ারম্যান জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ১১ সেপ্টেম্বর মুক্তির আগেই ‘কুলি’র আয় ২৫০ কোটি প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়া সফরে স্বাক্ষর হতে পারে ৫ সমঝোতা স্মারক ২০৩০ সালে আইডিয়াই হবে মূল চালিকা শক্তি: স্যাম অল্টম্যান

এখনও বাল্য বিয়ে মুক্ত হয়নি লালমনিরহাটে!

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৯:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
  • / ৩৮ বার পড়া হয়েছে

লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভায় আজ থেকে ১০বছর পূর্বে ঢাকঢোল পিটিয়ে বাল্য বিয়ে মুক্ত ঘোষণা করলেও আবারও বাল্য বিয়ে আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এছাড়াও বাল্য বিয়ের কারণে অল্প দিন সংসার করার পর বিবাহ বিচ্ছেদের শিকার হয়ে কোন কোন মেয়ে পিতার বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রামগঞ্জের অশিক্ষিত বিত্তহীন অল্প আয়ের পরিবারগুলোতে বাল্য বিয়ের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। প্রত্যন্ত ও গ্রামের অভিভাবক তাদের মেয়েদের বোঝা মনে করে কৈশোর পার হতে না হতে বিয়ে দেয়।

তারা মনে করেন, পরিবারের দরিদ্রতা যেখানে নিত্যদিনের সঙ্গী সেখানে মেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়ে সুশিক্ষায় গড়ে তোলা তাদের কাছে অবাস্তব কল্পনা ছাড়া কিছুই না।

তাদের মতে, মেয়েদের যত তাড়াতাড়ি বিয়ে দেয়া যায় ততই মঙ্গল।

অনেকে মনে করেন, বাল্য বিয়ে কম খরচে দেয়া যায় এ কথা চিন্তা করে তারা মেয়েদের কম বয়সে বিয়ে দিয়ে দায়মুক্তির ব্যর্থ চেষ্টা করে থাকেন। বাল্য বিয়ের কারণে অল্প বসে মেয়েরা গর্ভধারণ করে।

জানা যায়, বাল্য বিয়ের কারণে প্রতি বছর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে অনেক দম্পতির। বিবাহ বিচ্ছেদের শিকার এসব মেয়ে বাবার বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছে। আর প্রতি বছর ঝুঁকিপূর্ণ ও অপ্রাপ্ত বয়সে গর্ভধারণ করায় প্রসবকালে মৃত্যু হয় অনেক নারীর। বাল্য বিয়ে রোধে সরকারিভাবে আইন থাকলেও সবখানে সে আইন প্রয়োগ হচ্ছে না।

উল্লেখ্য যে, ২০১৫ সালের ২৭ নভেম্বর লালমনিরহাট জেলাকে বাল্য বিয়ে মুক্ত ঘোষণা দেয়া হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

এখনও বাল্য বিয়ে মুক্ত হয়নি লালমনিরহাটে!

আপডেট সময় : ০৬:৩৯:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভায় আজ থেকে ১০বছর পূর্বে ঢাকঢোল পিটিয়ে বাল্য বিয়ে মুক্ত ঘোষণা করলেও আবারও বাল্য বিয়ে আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এছাড়াও বাল্য বিয়ের কারণে অল্প দিন সংসার করার পর বিবাহ বিচ্ছেদের শিকার হয়ে কোন কোন মেয়ে পিতার বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রামগঞ্জের অশিক্ষিত বিত্তহীন অল্প আয়ের পরিবারগুলোতে বাল্য বিয়ের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। প্রত্যন্ত ও গ্রামের অভিভাবক তাদের মেয়েদের বোঝা মনে করে কৈশোর পার হতে না হতে বিয়ে দেয়।

তারা মনে করেন, পরিবারের দরিদ্রতা যেখানে নিত্যদিনের সঙ্গী সেখানে মেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়ে সুশিক্ষায় গড়ে তোলা তাদের কাছে অবাস্তব কল্পনা ছাড়া কিছুই না।

তাদের মতে, মেয়েদের যত তাড়াতাড়ি বিয়ে দেয়া যায় ততই মঙ্গল।

অনেকে মনে করেন, বাল্য বিয়ে কম খরচে দেয়া যায় এ কথা চিন্তা করে তারা মেয়েদের কম বয়সে বিয়ে দিয়ে দায়মুক্তির ব্যর্থ চেষ্টা করে থাকেন। বাল্য বিয়ের কারণে অল্প বসে মেয়েরা গর্ভধারণ করে।

জানা যায়, বাল্য বিয়ের কারণে প্রতি বছর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে অনেক দম্পতির। বিবাহ বিচ্ছেদের শিকার এসব মেয়ে বাবার বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছে। আর প্রতি বছর ঝুঁকিপূর্ণ ও অপ্রাপ্ত বয়সে গর্ভধারণ করায় প্রসবকালে মৃত্যু হয় অনেক নারীর। বাল্য বিয়ে রোধে সরকারিভাবে আইন থাকলেও সবখানে সে আইন প্রয়োগ হচ্ছে না।

উল্লেখ্য যে, ২০১৫ সালের ২৭ নভেম্বর লালমনিরহাট জেলাকে বাল্য বিয়ে মুক্ত ঘোষণা দেয়া হয়।