ঢাকা ০৮:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
KULO4D Slot Online Gacor Thailand Terpercaya : Akses Website Slot & Togel 4D Terbaru 2025 গোপনে ২২শ’ কোটি টাকার নজরদারি সরঞ্জাম কিনেছিল স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার স্তনের প্রদাহের ব্যাপারে এখনই সচেতন হোন নতুন শুল্ক আরোপ স্থগিত করলো চীন-যুক্তরাষ্ট্র কুয়েতের অন অ্যারাইভাল ভিসা পেতে পূরণ করতে হবে যে শর্ত পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের মন্তব্য নিয়ে ইসলামাবাদ-নয়াদিল্লির বাগযুদ্ধ বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’: যুক্তরাষ্ট্র মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৯৩৫ কোটি টাকায় কেনা হচ্ছে দুই জাহাজ যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরের পার্কিংয়ে ক্র্যাশ ল্যান্ডিং, বিমানে আগুন

লালমনিরহাটের প্রবেশদ্বার মিশন মোড় গোলচত্ত্বর।

মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:১৩:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে

মিশন মোড় গোলচত্ত্বর দেশের প্রায় অংসখ্য মানুষের কাছেই একটি সুপরিচিত নাম। এটি লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলায় অবস্থিত। লালমনিরহাটের প্রবেশদ্বার হওয়ায় এই স্থানটির পরিচিতি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার রাজধানীর সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক পথের প্রবেশদ্বার হলো- মিশন মোড় গোলচত্ত্বর। ক্রমেই স্থানটির গুরুত্ব বেড়ে চলছে। এখানে অভিজাত্য খাবার হোটেল রয়েছে প্রায় হাফ ডজন। এছাড়া বড় বড় নামীদামী আবাসিক হোটেলও রয়েছে।

এখানে গড়ে উঠেছে বে-সরকারি হাসপাতালসহ বেশ কিছু ক্লিনিক। এই স্থানটিকে কেন্দ্র করেই এখানে বিভিন্ন স্থাপনা করা হয়েছে। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকার কারণে গোলচত্ত্বরের অনতিদূরে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। আশপাশে গড়ে উঠেছে একাধিক বাজার ও শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ব্যবসার প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন গোলচত্ত্বর দিয়ে হাজার হাজার যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে থাকে। সব দিক দিয়ে স্থানটির কদর ক্রমেই বেড়ে চলছে। এখানে ১শতক জমির বর্তমান মূল্য কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০লক্ষ টাকা।

মিশন মোড় গোলচত্ত্বরের পরিচিতি ও কদর বাড়লেও সেবার মান বাড়েনি এখান দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের। প্রায় ১যুগ ধরে এখানে কোন যাত্রী ছাউনি নেই। ফলে ঝড়, বাদলে ভিজে ও রোদে পুড়ে চলাচল করতে হয় যাত্রীদের। এদিকে এখানে নেই কোন পাবলিক টয়লেট। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। যাত্রীদের ব্যাগ ছিনতাই, পকেটমার ও চুরি-ডাকাতি এখানে ঘটে থাকে অহরহ। অন্যদিকে এক শ্রেণির অসাধু লোকজনের প্রত্যক্ষ মদদে এখানে বিমান বাহিনীর জায়গা বেদখল হয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু প্রভাবশালী লোকজন জায়গা দখল করে বাসা-বাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ভাড়া দিয়ে খাচ্ছে। এতে সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে ফুটপাত। যার ফলে প্রায় সময়ই এখানে ঘটে বিশাল যানজট।

এদিকে, লালমনিরহাট জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড় গোলচত্ত্বর। বড়বাড়ি-লালমনিরহাট-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়কের এ স্থানটি দিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত। পথচারীদের আকৃষ্ট করতে এখানে স্থাপন করা হয়েছিল একটি আলোকিত স্তম্ভ ও ফোয়ারা। অথচ পরবর্তীতে দীর্ঘদিন ধরে ফোয়ারাটি বিকল হয়ে পড়েছিল। নেয়া হয়নি সংস্কারের উদ্যোগ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, লালমনিরহাট সদর উপজেলার খোর্দ্দ সাপটানা এলাকার আলোকিত স্তম্ভ ফোয়ারাটি আগের সৌন্দর্য আর নেই। সেই সাথে মরচে ধরা ও ভাঙা যন্ত্রাংশও নেই। দেখে বোঝার উপায় নেই, শেষ কবে এটি পানি ছিটিয়েছে। এখন আর সেই ফোয়ারাও নেই। ফোয়ারার স্থলে এখন ঘাস লাগানো হয়েছে।

আরও জানা গেছে, ২০০৬ সালে আলোকিত স্তম্ভটি নির্মাণ হয়। এরপর ২০১৬ সালে সেখানে একটি ফোয়ারা স্থাপন করা হয়। লালমনিরহাট জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড় গোলচত্ত্বর আলোকিত স্তম্ভ সংলগ্ন প্রায়ই বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য যে, এ গোলচত্ত্বরটিতে হরহামেশাই নানা ধরনের ইস্যু নিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কিন্তু এখানে বড় বড় গর্ত থাকায় বৃষ্টির পানি জমাট বেধে থাকে। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসা জরুরি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

লালমনিরহাটের প্রবেশদ্বার মিশন মোড় গোলচত্ত্বর।

আপডেট সময় : ০৬:১৩:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

মিশন মোড় গোলচত্ত্বর দেশের প্রায় অংসখ্য মানুষের কাছেই একটি সুপরিচিত নাম। এটি লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলায় অবস্থিত। লালমনিরহাটের প্রবেশদ্বার হওয়ায় এই স্থানটির পরিচিতি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার রাজধানীর সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক পথের প্রবেশদ্বার হলো- মিশন মোড় গোলচত্ত্বর। ক্রমেই স্থানটির গুরুত্ব বেড়ে চলছে। এখানে অভিজাত্য খাবার হোটেল রয়েছে প্রায় হাফ ডজন। এছাড়া বড় বড় নামীদামী আবাসিক হোটেলও রয়েছে।

এখানে গড়ে উঠেছে বে-সরকারি হাসপাতালসহ বেশ কিছু ক্লিনিক। এই স্থানটিকে কেন্দ্র করেই এখানে বিভিন্ন স্থাপনা করা হয়েছে। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকার কারণে গোলচত্ত্বরের অনতিদূরে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। আশপাশে গড়ে উঠেছে একাধিক বাজার ও শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ব্যবসার প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন গোলচত্ত্বর দিয়ে হাজার হাজার যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে থাকে। সব দিক দিয়ে স্থানটির কদর ক্রমেই বেড়ে চলছে। এখানে ১শতক জমির বর্তমান মূল্য কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০লক্ষ টাকা।

মিশন মোড় গোলচত্ত্বরের পরিচিতি ও কদর বাড়লেও সেবার মান বাড়েনি এখান দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের। প্রায় ১যুগ ধরে এখানে কোন যাত্রী ছাউনি নেই। ফলে ঝড়, বাদলে ভিজে ও রোদে পুড়ে চলাচল করতে হয় যাত্রীদের। এদিকে এখানে নেই কোন পাবলিক টয়লেট। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। যাত্রীদের ব্যাগ ছিনতাই, পকেটমার ও চুরি-ডাকাতি এখানে ঘটে থাকে অহরহ। অন্যদিকে এক শ্রেণির অসাধু লোকজনের প্রত্যক্ষ মদদে এখানে বিমান বাহিনীর জায়গা বেদখল হয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু প্রভাবশালী লোকজন জায়গা দখল করে বাসা-বাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ভাড়া দিয়ে খাচ্ছে। এতে সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে ফুটপাত। যার ফলে প্রায় সময়ই এখানে ঘটে বিশাল যানজট।

এদিকে, লালমনিরহাট জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড় গোলচত্ত্বর। বড়বাড়ি-লালমনিরহাট-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়কের এ স্থানটি দিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত। পথচারীদের আকৃষ্ট করতে এখানে স্থাপন করা হয়েছিল একটি আলোকিত স্তম্ভ ও ফোয়ারা। অথচ পরবর্তীতে দীর্ঘদিন ধরে ফোয়ারাটি বিকল হয়ে পড়েছিল। নেয়া হয়নি সংস্কারের উদ্যোগ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, লালমনিরহাট সদর উপজেলার খোর্দ্দ সাপটানা এলাকার আলোকিত স্তম্ভ ফোয়ারাটি আগের সৌন্দর্য আর নেই। সেই সাথে মরচে ধরা ও ভাঙা যন্ত্রাংশও নেই। দেখে বোঝার উপায় নেই, শেষ কবে এটি পানি ছিটিয়েছে। এখন আর সেই ফোয়ারাও নেই। ফোয়ারার স্থলে এখন ঘাস লাগানো হয়েছে।

আরও জানা গেছে, ২০০৬ সালে আলোকিত স্তম্ভটি নির্মাণ হয়। এরপর ২০১৬ সালে সেখানে একটি ফোয়ারা স্থাপন করা হয়। লালমনিরহাট জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড় গোলচত্ত্বর আলোকিত স্তম্ভ সংলগ্ন প্রায়ই বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য যে, এ গোলচত্ত্বরটিতে হরহামেশাই নানা ধরনের ইস্যু নিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কিন্তু এখানে বড় বড় গর্ত থাকায় বৃষ্টির পানি জমাট বেধে থাকে। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসা জরুরি।