বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কোষাগারে অর্থের পরিমাণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা গুঞ্জন ছিল। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানা গেল সেই সংখ্যা। বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব ছাড়ছে প্রায় ১৩৯৮ কোটি টাকা রেখে। পাশাপাশি বিভিন্ন পক্ষের কাছে তাদের আরও প্রায় ৪০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।
সোমবার অনুষ্ঠিত হয় বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের শেষ সভা। ২০২১ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পাওয়া এই পর্ষদে তিনজন সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছেন। টানা তিন মেয়াদে সভাপতি থাকা নাজমুল হাসান আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব হারান। এরপর ফারুক আহমেদ মাত্র নয় মাস সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। গত চার মাস ধরে বোর্ডের দায়িত্বে আছেন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তার সভাপতিত্বেই সোমবার রাত ৯টা থেকে শুরু হয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে সভাটি।
সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বোর্ডের আর্থিক চিত্র তুলে ধরেন পরিচালক ইফতেখার রহমান। তিনি বলেন, ‘১৩৯৮ কোটি টাকা আমরা রেখে যাচ্ছি। এফডিআর, ইন-হ্যান্ড ক্যাশ, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট—সব মিলিয়ে এই অর্থ আছে। এছাড়াও প্রায় ৪০ কোটি টাকা অনাদায়ী রয়েছে।’
সভায় বিপিএল নিয়েও আলোচনা হয়। নিয়ম অনুযায়ী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে টুর্নামেন্টটি আয়োজনের পরিকল্পনা আছে। তবে আসন্ন বিসিবি নির্বাচন ও জাতীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এখনো ফ্র্যাঞ্চাইজি চূড়ান্তসহ অনেক প্রক্রিয়াই আটকে আছে।
ইফতেখার রহমান বলেন, ‘আমরা টার্গেট করছি ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বিপিএল আয়োজনের। কিছু প্রস্তুতি এগিয়ে রাখা হয়েছে। তবে সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী বোর্ড।’
তিনি আরও জানান, বিপিএলের প্রথম আসর থেকে সর্বশেষ আসর পর্যন্ত বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি ও অংশীদারসহ মোট ১৮টি পক্ষের কাছে বিসিবির অর্থ পাওনা আছে। বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে আরবিট্রেশন প্রক্রিয়া চলছে।