ক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও প্রতিশ্রুত ত্রাণ সহায়তা ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। ফলে মানবিক সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। একই সঙ্গে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে ইসরায়েলি বাহিনীর নতুন হামলায় বেড়ে চলছে হতাহতের সংখ্যা।
রোববার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও ইসরায়েল এখন পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে মাত্র ১৪৫টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। যা নির্ধারিত দৈনিক ৬০০ ট্রাকের মাত্র ২৪ শতাংশ।
বিবৃতিতে বলা হয়, “ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোকে আটকে রাখছে। এর ফলে গাজার ২৪ লাখেরও বেশি মানুষ ভয়াবহ মানবিক সংকটে পড়েছে।”
গাজা কর্তৃপক্ষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যেন কোনও শর্ত ছাড়াই ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি নিশ্চিত করা হয়।
এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলের নির্ধারিত নতুন রুটের কারণে ত্রাণ কার্যক্রম আরও জটিল হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘ মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, “মিসরের সীমান্ত ঘেঁষা সংকীর্ণ রাস্তায় তীব্র যানজটের কারণে অনেক কনভয় গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না।”
অন্যদিকে যুদ্ধবিরতির মধ্যেও শনিবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস ও উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়া এলাকায় বিমান ও ট্যাংক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস ও কৃষিজমি নষ্ট হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৫৯৪ জন আহত হয়েছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা ও ত্রাণে বাধা যুদ্ধবিরতির কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ করছে।









